Shadow

আটঘরিয়ায় মাথা গোঁজার ঠাঁই মিললো কুষ্টিয়ায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারি ৪ নওমুসলিমের। 

ইব্রাহীম খলীল পাবনা জেলা প্রতিনিধি:
পাবনার আটঘরিয়ায় মাথা গোঁজার ঠাঁই মিললো কুষ্টিয়ায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারি ৪ নওমুসলিমের। ইসলাম ধর্মের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজ ইচ্ছায় হিন্দু ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন ৪ নওমুসলিম । এ ব্যাপারে তারা আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে স্থানীয় মাওলানা মো: আবু হানিফের
কাছে কালিমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী ৪ জন হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আড়ুয়া পাড়া গ্রামের অঞ্জলি দাস(বর্তমান নাম মোছা : ফাতেমা খাতুন (৩৮), বড় মেয়ে ঋতু রাণী(বর্তমান নাম মোছা: সাজেদা খাতুন (২০), মেজো মেয়ে সেতু রাণী( বর্তমান নাম মোছা: শাকিলা খাতুন( ১৮), ছোট ছেলে রবি কুমার (বর্তমান নাম আব্দুল্লা হাসান (১০)।

জানা যায়, তারা মানব জাতীর সঠিক ও সুন্দর জীবন বিধান ইসলাম ধর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ থেকে ৪ বছর আগে কুষ্টিয়ায় নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ও স্থানীয় মাওলানা মো: আবু হানিফের কাছে কালিমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। নওমুসলিম মোছা: ফাতেমা খাতুন বলেন, আমরা ইসলাম ধর্মের আদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিজেদের সুভাগ্যবান মনে করছি। বাকি জীবন ঈমান ও আমলের সাথে চলতে পারি সে জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই। তিনি আরও বলেন, আমার ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ এখন পাবনা পুরাতন বাস বাজার হাফিজিয়া মাদ্রাসায় লিখাপড়া করছে।

আটঘরিয়া উপজেলার শ্রীকান্তপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম এর বড় ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২৩) এবং নওমুসলিম মোছা: ফাতেমা খাতুনের মেজো মেয়ে মোছা: শাকিলা খাতুন গত বছরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রাকিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার কারনে অনেক নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে। এমনকি তাদেরকে পরিবার থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। শশুর এবং শাশুড়ীদের পরিবারের সবাই এখনও সনাতন হিন্দু ধর্মই পালন করছে। আমার শাশুড়ীসহ সবার থাকার মতো কোন জায়গা না থাকায় আমি আমার বাবাকে বলে তাদেরকে আমাদের বাড়িতে রাখি। পড়ে তাদের থাকার জন্য একটা ঘরের প্রয়োজন হয়। ঘর উঠানোর জন্য অনেক টাকা পয়সার প্রয়োজন হওয়ায় আমি স্থানীয় এক বড় ভাইকে বিষয়টি জানাই। পড়ে বড় ভাই ইউটিউবে বিষয় টা তুলে ধরলে বাংলাদেশি প্রবাসীরা বড় ভাইয়ের কাছে কিছু টাকা পাঠান। সেই টাকা দিয়েই আমরা বর্তমানে একটা ঘর করছি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *