চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রশিবিরের সাবেক একজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আবু নাসুর গুন্নু নামের ওই ব্যক্তিকে বুধবার সকালে হাটহাজারি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এই প্রথম কাউকে গ্রেপ্তার করা হলো।
বুধবার সকালে একটি সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, হত্যাকারী অবশ্যই তিনজনের বেশি ছিল। এ ঘটনায় এখনো পুলিশ কাজ করছে।
তিনি বলেন, ”আবু নাসুর গুন্নু নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে একসময়ে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে।”
তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে তিনি জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মি. ভট্টাচার্য বলেন, ”জঙ্গি সংগঠন ছাড়াও অনেক অপরাধী রয়েছে। এজন্য কাউকেই সন্দেহের বাইরে রাখা হচ্ছেনা। তবে তদন্তে জঙ্গি সংগঠনের বিষয়টি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।”
এই খুনের সঙ্গে শিবিরের সংশ্লিষ্টতা কি, এমন প্রশ্নের জবাবে মি. ভট্টাচার্য বলেন, ”এর আগেও বিভিন্ন সময় যেসব জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, দেখা গেছে তারা কোন সময় কোন না কোন ভাবে শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। প্রায় সবক্ষেত্রেই এই জিনিসটি আমরা পেয়েছি। সে কারণে জঙ্গিদের সঙ্গে শিবিরের একটি অনিবার্য যোগসূত্রে আমরা সমসময় দেখতে পাই।”
গত ৫ জুন চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকায় পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তারকে হত্যা করা হয়।
বাসার কাছাকাছি জিইসি মোড়ের কাছে মোটরসাইকেলে আসা তিনজন মিসেস আক্তারকে প্রথমে ছুরিকাঘাত ও পরে গুলি করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দায়ী করে একটি মামলা করেছেন বাবুল আক্তার।