Shadow

চলেন গেলেন কবি রফিক আজাদ(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)

‘ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র খাবো’ ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় এই বিক্ষুব্ধ পঙক্তিমালার রচয়িতা মুক্তিযোদ্ধা ও সম্পাদক কবি রফিক আজাদ আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

শনিবার বেলা সোয়া দুটার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)তার মৃত্যু হয়।

কবি রফিক আজাদ দীর্ঘদিন থেকে ডায়াবেটিস, কিডনি ও ফুসফুস সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পর তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কবিকে হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

১৯৪১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কবি রফিক আজাদ। তার বাবা সলিম উদ্দিন খান ছিলেন একজন সমাজসেবক এবং মা রাবেয়া খান ছিলেন গৃহিণী। দুই ভাই-এক বোনের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ। তারা ছিলেন তিন ভাই-দুই বোন।

তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়ই ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাবা মায়ের কঠিন শাসন উপেক্ষা করে তিনি ভাষা শহীদদের স্মরণে খালি পায়ে মিছিল করেন।

রফিক আজাদ ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক পান। এছাড়া সাহিত্যে অবদানের জন্য হুমায়ুন কবির স্মৃতি (লেখক শিবির) পুরস্কারসহ আরও বেশ কয়েকটি পুরস্কার পান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *