Shadow

ছয় দিনেও মেলেনি ভোলার চরফ্যাশনের ১৭ জেলের সন্ধান

শরীফ হোসাইন ॥ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপের প্রভাবে নিখোঁজ চরফ্যাশনের দুই ট্রলারের ১৭ জেলের সন্ধান ছয় দিনেও মেলেনি। এর মধ্যে একটি ট্রলারের নাম এফবি লামিয়া। ১৩ জেলেসহ নিখোঁজ রয়েছে উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বারেক মাঝির মালিকানাধীন ট্রলারটি। অপর ট্রলারটি একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মন্নান মাঝির মালিকানাধীন, সেখানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের চারজন জেলে রয়েছেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল মতিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিখোঁজ বারেক মাঝির ভাই মো. বাবুল বলেন, ‘গত ১৭ আগস্ট সকালে আমার ভাই বারেক মাঝি, আলাউদ্দিন মাঝি, আল-আমিন, দেলওয়ার, আলাউদ্দিন মীর, শাহিন হাওলাদার, আবুল মৃধা, মনির বেপারী, সারোয়ার, ইউসুফ, সফিউল্ল্যাহ, ইব্রাহিম ও আরও একজনকে নিয়ে মাছ শিকারে সাগরে যায় এফবি লামিয়া। সাগরে বৈরি আবহাওয়ার পর থেকেই তাদের কোনও খোঁজ পাইনি। মোবাইল ফোনেও তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। জীবিত কি মৃত তাও জানা নেই। সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ যাতে নিখোঁজদের সন্ধান পেতে সহযোগিতা করে।
জানা গেছে, বৈরি আবহাওয়ায় চরফ্যাশনের ১০টি ট্রলার নিখোঁজ ছিল। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে আটটি ট্রলার। উদ্ধার হওয়া ট্রলারগুলোতে প্রায় দুই শতাধিক জেলে ছিল। বর্তমানে তারা নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
সাগর থেকে ফিরে আসা মন্নান মাঝি বলেন, ‘আমি ১৭ জন জেলে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাই। হঠাৎ নিম্নচাপ শুরু হলে আমার ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। পরে সাগরে ভাসমান অবস্থায় পাশ দিয়ে যাওয়া রিয়াজ মাঝি ও ফিরোজ মাঝির ট্রলার আমার ১৭ জন জেলেকে উদ্ধার করে। কিন্তু মাছ ধরার ট্রলারটি সাগর থেকে আনা সম্ভব হয়নি। আমার ট্রলারটি যাতে ফিরে পাই, সে বিষয়ে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরফ্যাশন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল মতিন খান বলেন, ‘নিন্মচাপের পর থেকেই নিখোঁজ হওয়া ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধার করতে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের কয়েকটি টিম গভীর সমুদ্রে অভিযান চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত বারেক মাঝির ১৩ জন জেলেসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আরও ৪ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় বারেক মাঝির পরিবার দক্ষিণ আইচা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।