Shadow

জলঢাকায় কৃষি দ্রব‍্যের দাম বাড়ায় সাথী ফসলের আবাদ লাভজনক হয়ে উঠেছে

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারী জলঢাকায় সারাদেশের ন‍্যায় ডিজেল, সার, কিটনাশক সহ বিভিন্ন কৃষি দ্রব‍্যের দাম বাড়ায় সাথী ফসলের আবাদ বেশ লাভবান হয়ে উঠেছে। এক জমিতে একই খরচে দুই ফসল উৎপাদন হওয়ায় কৃষকেরা অনেক উৎসাহি হয়েছে । এতে করে সাথী ফসলের আবাদ দিন দিন বেড়েই চলছে। আগাম আলুর সাথে আখ। আবার কেউ আলুর সঙ্গে কলা কিংবা ভুট্টা,আবার কেউ আদার সাথে বেগুন চাষ করছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে গতবারের তুলনায় এবার বেশি জমিতে সাথী ফসলের আবাদ হয়েছে। ধর্মপাল, শিমুলবাড়ি, মীরগন্জ, কৈমারী ইউনিয়নে যে সকল এলাকা উচু বা দাঙ্গা জায়গা রয়েছে এসব জমিতে সাথী ফসলের আবাদ বেশি হয়ে থাকে। কৈমারী ইউনিয়নের চেংমারি এলাকার কৃষক নুরুল হক জানান হাইব্রিড ধান উঠিয়ে আগাম জাতের সেভেন আলুর সাথে কুসার (আখ) লাগিয়েছি। দুই মাসের মধ্যে আলু তুলবো। কুসার (আখ) জমিতে থেকেই যাবে। আবার সেই জমিতে তামাকও আবাদ করা যায়। বলা যায় এক খরচে দুই আবাদ।একই এলাকার চাষী সামসুল ইসলাম বলেন আমি প্রায় সাত বিঘা জমিতে আলুর সাথে আখ ও কলা আবাদ করেছি। এ দুই ফসলের আবাদে জন্য একটু বাড়তি পরিচর্যা করতে হয়। সারও বেশি লাগে না। এক বিঘা জমিতে ৪০০ কলাগাছের মালভোগ জাতের কলা এক লক্ষ টাকারও বেশি দামে বিক্রি করা যায়। তবে সাথী ফসল অনেক লাভজনক একটি ফসল। আমাদের এলাকার যাদের জমি আছে তারা সবাই আবাদ করে। শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের বালার পুকুর এলাকার খোকন নামের এক চাষী জানান আমরা দেশি আলুর সাথে ভুট্টা আবাদ করে থাকি। আলুর সাথে ভুট্টার ফলন ভালো হয়। সার, ডিজেলের যে দাম। সাথী ফসল আবাদে অনেকটা খরচ কমে গেছে।উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন আহমেদ জানান সাথী ফসল একটি লাভজনক আবাদ। এক খরচে দুই ফসলে কৃষকেরা লাভবান হয়। এবার ৩২০ হেক্টর জমিতে এ আবাদ হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় ৭০ হেক্টর বেশি।বিভিন্ন কৃষি দ্রব‍্যের দাম বাড়ার কারনে আগামীতে সাথী ফসলের আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে।