Shadow

ভোলায় পুলিশের ধাওয়ায় মেঘনা নদীতে নিখোঁজের ৩দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার

চীফ রিপোর্টার ॥ ভোলার দৌলতখান উপজেলায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া যুবক নোমানের (২৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ৩ দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোববার (২৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলার স্লুইস গেট এলাকা থেকে পুলিশ নোমানের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশের ৪ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পাতার খাল মাছ ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় একদল যুবক জুয়া খেলছিল। সেখানে পুলিশ পৌঁছালে তারা পালানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ৪ যুবক নদীতে ঝাঁপ দেন। তাদের মধ্যে ৩ জনের সন্ধান মিললেও নোমান নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় নোমানের স্ত্রী নাসরিন আক্তার বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। এ ঘটনায় দৌলতখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) স্বরূপ কান্তি, সোহেল রানা, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাসেল ও সজিবকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, মেঘনায় ভাসছিল যুবকের মরদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে নিখোজ নোমানের স্বজনরা তাঁর লাশ শনাক্ত করেছে। উদ্ধার হওয়া লাশের মুখম-ল থেঁতলানো এবং নাক ফাটা। মুখম-ল জুড়ে রক্ত জমাট বেঁধে লাল হয়ে গেছে। দৌলতখান থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) আবু হানিফ লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে নোমানের লাশ উদ্ধারের খবরে তাঁর আতœীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। তাঁরা নোমানের লাশ একনজর দেখার জন্য হুমরি খেয়ে পড়েন। স্বজনদের আহাজারিতে ঘটনাস্থলে এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আহাজারির কন্ঠে স্বজনরা এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের কঠিন বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়া নোমান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় শুক্রবার রাতে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জহুরুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন ও ভোলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম কামরুল। তবে কতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে তা নিশ্চিত করতেন পারেননি কমিটিতে থাকা কেউই। তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে। প্রতিবেদনের আলোকে বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল ও ক্লোজড হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারারা বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আসবে।