Shadow

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃিত্ত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন

নিউজ ডেস্ক : প্রয়াস নিউজ ডট কম।

উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের রূপ। আওয়ামী লীগ সরকারের কল্যাণে দেশে সংঘটিত হয়েছে আমূল পরিবর্তন। জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন থেকে শুরু করে ডিজিটালাইজেশন, সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে। বিগত দশ বছরে দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। যার ফলাফল, বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এক নজরে দেখে নেয়া যাক ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের শ্রেষ্ঠ সফলতাগুলো।

 

দারিদ্র্যের হার হ্রাস: দারিদ্র্যের হার হ্রাসে সরকারের কার্যক্রম ছিল প্রশংসনীয়। দারিদ্রের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২১.৮ শতাংশ।

 

গড় আয়ু বৃদ্ধি: বিগত কয়েক বছরে জনগণের গড় আয়ুতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭২.৩ বছর।

ঝরে পড়ার হার: প্রাথমিক পর্যায়ে ঝরে পড়ার হার এখন ১৮.৬ শতাংশ। এর ফলে শিক্ষার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদন: বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের সাফল্য বিস্ময়কর। বিদ্যুৎ উৎপাদন এর ক্ষমতা ২২,৫৬২ মেগাওয়াট।

আইসিটি খাতে রফতানি: অসম্ভব মনে হলেও সত্য, বাংলাদেশ আইসিটি খাতে রফতানি শুরু করেছে। আইসিটি খাতে রফতানি থেকে আয় হয়েছে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

বিদ্যুৎ সুবিধা: দেশের ৯৪ শতাংশ জনগণ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

 

বই বিতরণ: যথা সময়ে পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করেছে সরকার।

রফতানি আয়: রফতানি আয় হয়েছে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

রেমিট্যান্স: ১৬০০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আয় হয়েছে।

 

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট: বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মহাকাশে “বঙ্গবন্ধু ১” স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে।

 

খাদ্য উৎপাদন: দেশের খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ৪ কোটি মেট্রিক টন।

 

ধান উৎপাদন: ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ৪র্থ।

 

মাছ উৎপাদন: মাছে ভাতে বাঙালি সবসময়ই মৎস্য শিল্পে সমৃদ্ধ। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ৩য়।

 

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ: দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

 

বৈদেশিক বিনিয়োগ: সরকারের সাফল্যের আরেক মাইলফলক হচ্ছে বৈদেশিক বিনিয়োগ। অর্থ বছরে বৈদেশিক বিনিয়োগ ৩৬০ কোটি ডলার এর বেশী উন্নিত করা হয়।

 

লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশ।

 

ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯: যে কোনো সময় জরুরি ভিত্তিতে সেবা পেতে আধুনিক বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও চালু হয়েছে ইমার্জেন্সি সার্ভিস “৯৯৯” কল সেবা।

 

মাথাপিছু আয়: বিগত কয়েক বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার অবিশ্বাস্য। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১৯০৯ ডলার এর বেশী ।

 

মধ্যম আয়ের দেশ: জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ পরিণত হয়েছে।

 

বিশ্ব পরমাণু ক্লাব: ৩২তম নিউক্লিয়ার নেশন হিসেবে বিশ্ব পরমাণু ক্লাবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ।

 

অতি দারিদ্র্যের হার হ্রাস: অতি দারিদ্র্যের হার কমে হয়েছে ১১.৩%।

 

জনগণের জন্য সরকারি কল সেবাসমূহ:
৯৯৯ (জাতীয় জরুরি সেবা)
১০৬ (দুদকের হটলাইন)
১০৯ (নারী নির্যাতন বা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কল সেন্টার)
৩৩৩ (সরকারি তথ্য সেবা)
১৬২৬৩ (স্বাস্থ্য বাতায়ন)
১০৯০ (দুর্যোগের আগাম বার্তা)
১০৫ (জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্য কল সেন্টার)
১৬১০৮ (মানবাধিকার সহায়ক কল সেন্টার)

 

ডেলটা প্ল্যান: বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের মতো এগিয়ে নিতে নেয়া হয়েছে ১০০ বছরের “ডেলটা প্ল্যান”।

 

মেট্রোরেল:
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। থাকবে ১৬টি স্টেশন। প্রতি ঘণ্টায় যাত্রী পরিবহন করবে প্রায় ৬০ হাজার।

পদ্মা সেতু: প্রতিটি বাঙালির স্বপ্নের সেতু ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’র ৯০ শতাংশ কাজ সমাপ্ত।

 

কমিউনিটি ক্লিনিক: সারাদেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে যেখানে ৩০ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।

অর্থনৈতিক অঞ্চল: সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করা হচ্ছে যেখানে কর্মসংস্থান হবে ১ কোটির বেশী লোকের।

 

ইলিশ: ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম। বিগত ১০ বছরে ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৭৮%।

 

যুদ্ধাপরাধীর বিচার: চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে জাতি আজ কলঙ্কমুক্তির দ্বারপ্রান্তে।

প্রবৃদ্ধি: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৮.১৫% বেশী ।

সব মিলিয়ে প্রগতিশীল আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে অতীতের পুঞ্জিভূত সমস্যা, চরম অব্যবস্থাপনা এবং বিশ্বমন্দার পটভূমিতে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে তা প্রতিটি ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান। দেশের সকল নাগরিকগন এবার বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে বলতে পারবে আমি বাংলাদেশের গর্ভিত নাগরিক। আমার দেশ বাংলাদেশ ।।