Shadow

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন তৈরি করতে সরকারি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা।

পাবনা জেলা প্রতিনিধি : পারমাণবিক বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এবার সেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সঞ্চালন লাইন তৈরি করবে সরকার। বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা। এই টাকা দিয়ে দেশের ১৩টি জেলায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে। স্থাপন করা হবে ৬০৯ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) উপস্থাপন করা হচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ ইভাকুয়েশনের জন্য সঞ্চালন অবকাঠামো উন্নয়ন” শীর্ষক এ প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৯৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ১ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ১ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা এবং প্রকল্প ঋণ ৮ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ হিসেবে এ অর্থ দেবে ভারত। ইন্ডিয়ান লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় এ ঋণ মিলছে। অনুমোদন পেলে এটি বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পিনি অব বাংলাদেশ
লিমিটেড কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ পর্যন্ত মেয়াদকালে বাস্তবায়নের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ১৩টি জেলার ৩৭টি উপজেলায় এই বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুতের এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ, লোড শেডিং হ্রাসকরণ এবং ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সকল মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার সমগ্র দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
স্বল্পমূল্যে জনসাধারণকে বিদ্যুৎ প্রদানের জন্য সরকারের গৃহীত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রূপপুরে দুটি ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ
পারমাণবিক শক্তি কমিশন এবং রাশিয়ার মধ্যে ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রাশিয়ান ফেডারেশনের সহায়তায় রূপপুরে ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নির্মিতব্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম ইউনিট ২০২২ সালের অক্টোবর এবং অপর ইউনিট ২০২৩ সাল নাগাদ

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর
প্রতিশ্রুতি অনুসারে প্রান্তিক পর্যায়ে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে হবে। এ জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সঞ্চালন
লাইন স্থাপনের প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। গুরুত্ব বিবেচনায় আগামী একনেকে তা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *