ফেনীর স্কুলে পড়ানো হচ্ছে না বয়ঃসন্ধি সম্পর্কিত বিষয়গুলো

ফেনীর সমুদ্র উপকূলীয় সোনাগাজীর চরাঞ্চলে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঝরে পড়ছে কয়েক হাজার কিশোর-কিশোরী। এতে পাঠ্যপুস্তকে প্রজনন এবং যৌনস্বাস্থ্য বিষয়টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। আর এ বিষয়টিতে এখনও তাদের নির্ভরতা পরিবারের ওপর।

এদিকে, বঞ্চিতদের জন্য বিশেষ প্রকল্পের পরামর্শ স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের।

কিশোর কিশোরীদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে ২০১৩ শিক্ষা বর্ষ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থার সিলেবাসে বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত করা হয় শারীরিক শিক্ষা বিষয়টি। ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন একটি অধ্যায়ে বয়ঃসন্ধি কালের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, যৌন স্বাস্থ্য, নির্যাতন, নিপীড়ন ও প্রজননসহ শারীরিক পরিবর্তনের বিভিন্ন বিষয়ে করণীয় এবং মোকাবেলার কলা কৌশল সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে।

জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ২শ’ ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বতন্ত্র ২৫টি ছাড়া বাকি সবগুলোই সহশিক্ষার প্রতিষ্ঠান। আর এসব সহশিক্ষার প্রতিষ্ঠানেই পাঠ্যপুস্তকের এ বিষয়গুলো পড়তে ও পড়াতে বেশি বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে সবাইকে।

ফেনী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওয়ালী উল্লাহ জানালেন, বিব্রতবোধের কারণে পাঠদানে সমস্যার কথা তিনি অবগত নন।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ফেনী জেলার মাধ্যমিকের দুই লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে স্পর্শকাতর এ বিষয়টির কৌশলী পাঠদানের জন্য শিক্ষকদের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

Thursday, June 8, 2023

সর্বশেষ