ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলার বাপ্তা চরনোয়াবাদ এলাকা প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী জব্বারকে ঠিকাদার মাহমুদুল হকের নিকট আত্মীয় পারভেজ শিহাব কর্তৃক ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ছুরি দিয়ে পোচ দেয়া হয়। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ শেষে ৯নং ওয়ার্ডের জাইল্যা কান্দি মাওলানা এনামুল হক সাহেবের বাড়ির দড়জায় এ ঘটনা ঘটে। ধারনা করা হচ্ছে ব্যবসায়ীক লেন-দেনের কারণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রধান আসামী পারভেজ শিহাবকে রাতেই আটক করেছে পুলিশ।
আহতের ভাই আবুল খায়ের জানায়, আমার ভাই জব্বার এর সাথে ঠিকাদার মাহামুদুল হকের সাথে দীর্ঘদিন ব্যবাসায়ী লেন দেন ছিল। গত কয়েকদিন আগে তাদের ব্যবাসায়ীক লেনদেন স্থানীয়ভাবে মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারই জের ধরে ঠিকাদার মাহামুদুল হকের ভায়রার ছেলে পারভেজ শিহাবকে দিয়ে পূর্বের শত্রুতা মিটিয়ে দিয়ে পৃথিবী থেকে ব্যবসায়ী জব্বারকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা সমাপ্ত করতে ছেয়েছিল ঠিকাদার মাহমুদল হক। সন্ত্রাসী পারভেজ শিহাব পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের কালিখোলার স্থানীয় বাসিন্দা এবং ঠিকাদার মাহামুদুল হকের ভায়রার ছেলে।
আহতের ভাই খায়ের আরো জানান, আমার ভাইর ডাক চিৎকারে মসজিদের ইমাম ও মুসুল্লিগণ দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। আমি যদি ঘটনাস্থলে না থাকতাম তাহলে তাকে মৃত রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে হতো। তিনি আরো বলেন, আমার ভাই জব্বার ও সন্ত্রাসী পারভেজ শিহাব ও আমি এক সাথে নামাজ আদায় করি। আমার ভাই নামাজ আদায় করে আগে বের হলে সন্ত্রাসী পারভেজ শিহাব তাকে পথ রোধ করে তার দুই গালে ধারালো ছুড়ি দিয়ে পোচ দেয়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে জব্বার মাটিতে লুটিয়ে পরে। আমার ভাই মাটিতে পড়ে গেলে শিহাব পুনরায় হ্যার উদ্দেশ্যে তার গলায় পোচ দেয়। আমি মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখি আমার ভাইকে ধরাধরি চলছে। এ দেখে আমি দৌড়ে আসলে আমাকেও ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে শিহাব। এ সময় মসজিদের মুসল্লীগণ শিহাবকে আটক করতে সক্ষম হয়। তারা শিহাবকে আটকিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে শিহাবকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আহত জব্বারকে ঘটনাস্থলে থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার আহত জব্বারকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদার মাহামুদুল হকের ০১৭১৫৯৯৫৬৭৫ নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বাপ্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা এ প্রতিবেদককে জানান, আমি ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় আসামীকে পুলিশের হাতে তুলে দেই। প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি কেন জব্বারকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হলো তার আসল রহস্য উদঘাটন করা হোক। এ ব্যাপারে যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে তার জন্য আমি সর্বদা প্রস্তুত আছি।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, আসামীকে আমরা ঘটনাস্থল থেকে আটক করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসল রহস্য উদঘাটন এবং তদন্ত সাপেক্ষ আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।