Shadow

কমলনগরে গৃহকর্মী কিশোরী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। 

কমলনগর(লক্ষ্মীপুর) লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়ে এখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

বিষয়টি এলাকায় প্রকাশ পাওয়ার পর ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, চর জাঙ্গালীয়া গ্রামের এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে দুই বছর আগে গৃহে কাজের জন্য আনে একই গ্রামের হাজ্বী বাড়ির শাহেদ মিয়া।

গত কোরবানি ঈদে মেয়েটিকে দেখতে তার নানি শাহেদ’র বাড়িতে গেলে নাতনির অবস্থা দেখে জানতে চাইলে শাহেদ বিষয়টি কেউকে  না জানানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পরে আগস্ট মাসের আনুমানিক ৪-৫ তারিখে মেয়েটির নানি এবং মামা’কে সাথে নিয়ে শাহেদ গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করতে হাসপাতালে যায়। কোন হাসপাতাল দায়িত্ব না নেওয়ায় তাদেরকে নিয়ে শাহেদ চলে আসে।
এরপর স্থানীয় কিছু প্রভাবশীলদের নিয়ে গত বৃহস্পতিবার শাহেদের ঘরে একটি বৈঠক হয়, বিষয়টি জানার পর কেউ কোন সমাধান দিতে না পেরে চলে যায়।

গোপন সংবাদে জানা গেছে শাহেদ মিয়া মেয়েটিকে নোয়াখালী তার বাসায় নিয়ে গর্ভের বাচ্চা খালাস করে পরে তাকে পরিবারের কাছে পৌছিয়ে দিবে বলে মেয়েটিকে তার বাড়িতে আটক করে রেখেছে।

কিশোরীর পরিবার পক্ষ থেকে তার নানি জানিয়েছেন, শাহেদ মিয়া দুই বছর আগে আমার নাতনিকে কাজে নেয়, তার দুই ছেলে এবং সে বাড়িতে তারা ছাড়া কেউ আমার নাতনিকে ধর্ষণ করতে পারে না। কিছু দিন আগে আমাকে এবং আমার ছেলেকে সাথে নিয়ে লক্ষ্মীপুর বিভিন্ন হাসপাতালে যায় বাচ্চা নষ্ট করার জন্য।

ডাক্তার রাজি না হওয়াই শাহেদ মিয়া আমাদেরকে নিয়ে চলে আসে। এখন সে আমার নাতনিকে তার বাসায় আটক করে রেখেছে, আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধি নাতনিকে ধর্ষণের সুষ্ট বিচার চাই ।

ধর্ষিতার মামা জানিয়েছেন আমার ভাগ্নীকে ধর্ষণের পর শাহেদ মিয়া আমার মা ও আমাকে নিয়ে লক্ষ্মীপুর বিভিন্ন হাসপাতালে যায় কেউ বাচ্চাটি নষ্ট করতে রাজি না হওয়াই পরে আমাদেরকে নিয়ে চলে আসে।
আমিও  এই ধর্ষণের বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহেদ প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে বলে, এবিষয়ে আপনাদেরকে এড়িয়ে চলাই ভালো। এসব গুজব, গুজবে কান দিবেন না।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোসলেহ উদ্দিন জানান, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।