Shadow

আটঘরিয়ায় কেঁচো সার তৈরি করে স্বাবলম্বী খাইরুল

ইব্রাহীম খলীল, আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি:
ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আটঘরিয়ার খাইরুল ইসলাম । বাড়িতে বসেই কেঁচো ব্যবহার করে এই জৈব সার তৈরি করছেন তিনি। তার উৎপাদিত পরিবেশবান্ধব এবং মাটির উর্বরতাশক্তি বৃদ্ধি করা এ সারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই সার মাটিকে তাজা করে। কোনও ক্ষতিকর দিক নেই। দামেও বেশ সস্তা। তাই কৃষকেরও পছন্দ এই সার।

কেঁচো সার বিক্রি করে এখন মাসে প্রায় লাখ টাকা আয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষক ও দ্যোক্তা খাইরুল। তার দেখাদেখি আরও অনেক তরুণ কৃষক এগিয়ে এসেছেন কেঁচো সার উৎপাদনে।৮টি হাউস থেকে নিজের জমির জন্য জৈব সার উৎপাদন করছেন।

খাইরুল আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের অভিরামপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি জানান, হঠাৎ একদিন স্থানীয়
উপজেলা কৃষি অফিসার সজিব আল মারুফ স্যার জৈব সার তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাকে অবগত করেন। পড়ে তিনি আমার আগ্রহ দেখে আমাকে কেঁচোসহ বিভিন্ন উপকরণ সহায়তা করেন। এরপর কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করি জৈব সার তৈরির কাজ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় ৮টি রিংস্লাব দিয়ে কেঁচো সারের উৎপাদন শুরু করেন তিনি। তারপর ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানোর চিন্তা করছেন । বাড়ির পাশের বাগানে ১টি টিনের শেড উঠিয়ে বসিয়েছেন ৮টি হাউস বা চৌবাচ্চা।

সার উৎপাদনের জন্য প্রতিটি হাউসে গোবর, ১ কেজি কেঁচো ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর হাউস ঢেকে দেওয়া হয় নেটজাল দিয়ে। এভাবে ৪০ দিন ঢেকে রাখার পর তৈরি হয় ভার্মি
কম্পোস্ট সার।

তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার চাষিরা আমার কাছ থেকে সার নিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করছেন । এখন অনেক কৃষক আমার কাছ থেকে জৈব সার তৈরি করা শিখতে আসছেন।’

স্থানীয় চাষি রাব্বি বলেন, ‘বাজারে রাসায়নিক সারের তুলনায় জৈব সারের দাম কম। তাই আমরা জমিতে জৈব সার ব্যবহার শুরু করেছি। ভালো ফলও পাচ্ছি। এই সার ব্যবহার করে জমির উর্বরতা বাড়ছে, মাটির ক্ষতি হচ্ছে না। ফলনও ভালো পাচ্ছি।’

এলাকার কৃষকেরা বলেন, তার এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। তিনি এখন স্বাবলম্বী। জৈব সার তৈরি করে খাইরুল নিজে স্বাবলম্বী হয়েছেন। নিজের সংসার চলছে ভালোভাবে।

আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজিব আল মারুফ বলেন, খাইরুলের আগ্রহের কারণেই আমরা তার পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছি। মাঝেমধ্যেই তার খামারে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছি। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই এই জৈব সার উৎপাদন শুরু করেছেন।