মশিয়ার রহমান,নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর জলঢাকায় কৃত্রিম গুহায় দিন কাটাচ্ছেন গৃহত্যাগী রঞ্জিত রায়। কথা বললেননা ৩ বছর।রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা ও জানাযায় এলাকাবাসীর সহায়তায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের দেওনাই নদীর তীরে খনন করা ১০ ফুট গর্তের ভিতরে এবারের শীত কালটা পার করবেন বলে জানান গৃহত্যাগী রঞ্জিত ।
মহাদেবের আরাধনায় ১২ বছরের মৌনব্রত ও ধ্যান পালন করাই তার উদ্দেশ্য। মাটির উপরে মাঝে মধ্যে দেখা দিলেও কোনো কথা বলেন না এই সাধু।দেওনাই নদীর তীরে অদ্ভুত এই সাধুকে দেখা যাচ্ছে কিছুদিন ধরে। এলাকাবাসীর কাছে তিনি পরিচিত হলেও, আচরণে তিনি অচেনা।
২০২০ সালের শুরুর দিকে ভারতে তীর্থ শেষে নিজ এলাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের বাড়িতে ফিরে আসেন রঞ্জিত চন্দ্র রায়। দেশে ফিরে কৃষিকাজ ছেড়ে দেন তিনি, ঘর সংসারও ত্যাগ করেন। গৃহত্যাগী সাধু মহাদেবেরের আরাধনায় ১২ বছরের জন্য ধ্যানে বসেছেন রঞ্জিত রায়।এবিষয়ে নীলফামারির ধর্মপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ১২ বছরের সাধনায় লিপ্ত হয়েছেন রঞ্জিত সাধু। তিনি কারোর সাথে কথা বলেন না, খাওয়া-দাওয়া ঠিকমত করেননা। আমরা চাই তার এত কষ্টের সাধনা সফল হোক।
শুরুতে রঞ্জিত আতপ চালের ভাত খেলেও এখন তার খাবার তালিকায় রয়েছে কলা, ভুট্টা ও চালের গুঁড়া, শাকসবজি আর ফলমূল ।স্থানীয় ভক্ত আর পরিবারই সাধুর আহার যোগান দেয়।এরইমধ্যে আশ্রমে রূপ নিয়েছে সাধুর এই জায়গাটি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম বলেন, যেকোনো প্রয়োজনে সরকারের দেয়া সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী তাকে সাহায্য করা যাবে।শিবভক্ত রঞ্জিতের তিনটি বছর কেটেছে মাটির উপরে। ধ্যানের বাকি সময়টা তিনি ভূগর্ভে কাটাতে চান।