Shadow

বরিশাল কাশীপুরে পরাজিত প্রার্থীর ছেলের সন্ত্রাসী হামলায় তিন সাংবাদিক আহত। 

হাসান আহমেদ, বরিশাক :বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ডের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭ তারিখ বুধবার। সারাদিন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হলেও ফলাফল ঘোষণার পরই ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় উক্ত ওয়ার্ডে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাশীপুরের অন্ধ মাদ্রাসা ও প্রশিকা অফিসের সামনে নির্বাচনে জয় লাভ করা জাহিদ হোসেন রুবেলের নির্বাচনী এজেন্ট ও তার বন্ধু জহির উদ্দিন বাবর, মাহমুদ হোসাইন মামুন, নুরুল হক মিয়াজী হেঁটে যাচ্ছিল পথিমধ্যে তাদের উপর নির্বাচনে হেরে যাওয়া গোলাম কবির মামুনের ছেলে রাব্বি, ফারুক মিরার পুত্র রামিম, রাফি, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের জহির মুন্সির পুত্র মাদক ব্যবসায়ী নয়ন মুন্সি, মাঝি বাড়ির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাগর, কাশিপুর বাজার সংলগ্ন কামালের পুত্র সুমন,হরিপাশা ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী বাড়ির স্বাধীন, পেশাকারের পুত্র সামিতসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের একটি বাহিনী তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় । সেই সময় নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহ শেষে দৈনিক ভোরের অঙ্গীকারের শিক্ষানবিশ রিপোর্টার শাকিল, ঢাকা প্রতিদিনের বরিশাল প্রতিনিধি সবুজ ও কলমের কন্ঠের রিপোর্টার রিপন রানা উক্ত স্থান থেকে যাওয়ার প্রাক্কালে হামলার ভিডিও ছবি ধারণ করতে গেলে রাব্বির নেতৃত্বে তাদের উপরে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং তাদের কাছে থাকা তিনটি মোবাইল সেট ও দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানা যায়। হামলায় আহত সবাই বর্তমানে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তবে হামলায় সাংবাদিক শাকিলের পিঠের উপরে কোপের আঘাত পাওয়ায় গুরুতর অবস্থায় আছে।
উল্লেখ্য সন্ত্রাসী রাব্বি কাশীপুর বাজারে সেনিটারি ব্যবসা করেন।

আহত সাংবাদিকদের দেখতে শেবাচিমে আসেন ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইমরান মোল্লা। উক্ত হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি করেন তিনি

হামলার বিষয়ে বিজয়ী কাউন্সিলর রুবেল বলেন আমি এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং দ্রুত হামলাকারী রাব্বিকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
হামলার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাব্বির পিতা মামুনকে ফোন দিলে তিনি বলেন আমি উক্ত হামলা সম্পর্কে কিছুই জানিনা আমার ছেলে নির্বাচন শেষ হলে বাসায় এসে ঘুমাচ্ছে।
হামলার বিষয়ে উপ পুলিশ কমিশনার ( উত্তর) জাকির হোসেন মজুমদার বলেন আমরা নির্বাচনী সহিংসতায় বিষয়টি জানতে পেরেছি এবং আসামীদেরকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা চলতেছে।