মোঃ আরিফ হোসেন
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি
নারীকে কুপ্রস্তাব নয় কাজের মজুরি চাওয়াকে কেন্দ্র করেই প্রতিপক্ষের হামলায় নারী ও শিশুসহ সাত জনকে আহত করার অভিযোগ।
এই বিষয়ে অভয় মামলা দায়ের করেন ।
ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৭ নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চর মনসা গ্রামে। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর চীপ জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায় মামলার বাদী বিবি কুলছুমের স্বামী হুমায়ুন কবির চরভূতা গ্রামের সাইফুল ইসলাম সোহেলের ঘরে রাজ মেস্ত্রীর কাজ করে প্রায় ১ বছর আগে।
কাজের টাকা বাবদ বিশ হাজার টাকার মত পাওনা হয়। এই টাকা নিয়ে বিবাদী সোহেল তালবাহানা করতে থাকে।
গত ২৫ এপ্রিল হুমায়ুন তার পাওনা টাকা চাইলে বিবাদী সোহেল, পারভেজ, করিম, মোবারক হোসেন, ইমন, শাহেদ, জাবেদ, সোহেল হোসেন বেছা, ফারুক সংঘবদ্ধ হয়ে হুমায়ুন ও তার পরিবারের উপর হামলা চালায়।
এঘটনায় হুমায়ুন, তার ভাই মামুন, স্ত্রী বিবি কুলছুম, তার মা মনি বেগম, ছেলে শাওন, হুমায়ুনের মা মনোয়ারা, ও ৫ বছরের কণ্যা শিশু কণ্যাসহ সাতজন গুরুতর আহত হয়।
মামলার বাদী জানান আসামিরা দেশীয় অস্র সস্রে সজ্জিত হয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তদের রক্তাক্ত জখম করে।
আহতদের কমল নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
মামলার আসামীরা এলাকায় সংঘবদ্ধ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে। আহত নারী শিশু ও বৃদ্ধা আসামিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী করেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে মোঃ করিম বলেন নারীকে কুপ্রস্তাব নয় বরং কাজের টাকা নিয়ে সোহেল ও তার স্ত্রী সেলিনার সাথে মারামারি হয়েছে । কিন্তু আমার বোন মোবাশারা ও তার ছেলে দের উপর কেনো হামলা করেছে তা আমরা অজানা । আমার বোন ভাগিনা দের উপর হামলা করার কারণে আমি তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছি ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম জানান মারামারির ঘটনা সত্য, উভয় পক্ষই মামলা করেছে শুনেছি।