নীলফামারী প্রতিনিধিঃ খাজনা পরিশোধের নামে ইউনিয়ন জুড়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মাইকিং। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের টাকা মেরে দিতে চেয়ারম্যানের নতুন ফাঁদ! হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক লাখ টাকা। তবে ইউএনও জানালেন, প্রমান পাওয়া গেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ১১ নং কৈমারী ইউনিয়নের টগরার ডাঙ্গাবাজারে।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১লা আগস্ট জলঢাকা উপজেলায় ১৫ আগস্টের প্রস্তুতিমুলক আলোচনা সভায় হতদরিদ্রদের ডাটাবেস তৈরির জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) কৈমারী ইউনিয়ন পরিষদে হতদরিদ্রদের ডাটাবেস কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু উপজেলার ১১ নং কৈমারী ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুল সিদ্দিকী সাদেক ভিন্ন ফাঁদ পেতে বসেন। খাজনা পরিশোধের নামকরে ১০ টাকার চালের সুবিধাভুগিদের কাছ থেকে জন প্রতি ২শত টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। ভুক্তভুগিদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ফি আদায়ের রশিদে খাজনা পরিশোধের জায়গায় বিবিধ কারন দেখিয়েছেন।
গাবরোল মাষ্টার পাড়া গ্রামের কার্ডধারী মঞ্জুয়ারা, গনেশ ও লিপি জানান, কার্ড নবায়নের জন্য জন প্রতি ২শত টাকা করে নিয়েছে আলাল চৌকিদার।
খাজনা পরিশোধের জায়গায় বিবিধ কেনো দেখানো হচ্ছে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুল সিদ্দিকী সাদেক বলেন, এটি ভুল করে বিবিধ দেখানো হয়েছে। আমার ইউনিয়নে প্রায় সাড়েতিন হাজার কার্ডধারী রয়েছে। তবে টাকা আদায়কারী গ্রাম্য পুলিশ আলাল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশেই বিবিধ দেখিয়ে টাকা নেওয়া হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ১০ টাকার চালের কার্ড নবায়ন বা ডাটাবেস তৈরির ক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান জানান, টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। তবে এঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।