Shadow

পঞ্চগড়ে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য কবরস্থান থেকে আরিফুর রহমানের লাশ উত্তোলন 

মোঃ শিউলী আক্তার,স্টাফ রিপোর্টার:- পঞ্চগড়ে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য প্রায় সাড়ে চার মাস পর কবরস্থান থেকে আরিফুর রহমানের (২৮) নামে এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ ।

আজ সোমবার ( ১০ জুলাই ) সকালে দিকে পঞ্চগড় জেলা শহরের রামেরডাঙ্গা এলাকায় কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে আরিফুরের লাশটি উত্তোলন করা হয়।

এ সময় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) ফরহাদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ‘সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষে নিহত আরিফুর রহমানের মৃত্যু হয় । পরদিন আরিফুরের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় পরিবার থেকে কোনো মামলা করতে রাজি হয়নি। পরে সদর থানা পুলিশ উদ্যোগী হয়ে ৪ জুন একটি হত্যা মামলা করে মামলার বাদী পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, সংঘর্ষ চলাকালে হামলাকারীদের ইটপাটকেলের আঘাতে আরিফুরের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময়ই লাশটি ময়নাতদন্তের চেষ্টা করেছিল পুলিশ।

কিন্তু নিহত ব্যক্তির স্বজনেরাসহ স্থানীয় লোকজন লাশটির ময়নাতদন্ত করতে দেননি। তাই আজ আদালতে নির্দেশে উত্তোলনের পর প্রথমে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে সেখান থেকে বেলা দেড়টার দিকে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ ও পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন রফিকুল হাসান বলেন, পুরোনো লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যে দক্ষ জনবল প্রয়োজন, তা পঞ্চগড়ে নেই। এ জন্য লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, আরিফুর রহমান মারা যাওয়ার সময় পরিস্থিতি বিবেচনায় লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁর পরিবারকে মামলা করতে বলা হলেও তারা মামলা করতে রাজি হয়নি।

এ জন্য এ ঘটনায় পরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। পরে আদালতের আদেশেই লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।