আই সবুজ,ভোলা থেকে :-কুড়িয়ে আনা কাঠের টুকরো, কেটে ফেলা গাছের শিকড়-বাকড় দিয়েই রহমান রানা সাজিয়েছেন টং ঘর । ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচরা ইউনিয়নে গেলে দেখা মিলবে দৃষ্টিনন্দন এসব শিল্পকর্মের। —সাধারণের চোখে যা অকেজো পরিত্যক্ত গাছের শেকড় বা গুঁড়ি। সেগুলোই রহমান রানার হাতের ছোঁয়ায় হয়ে ওঠে এক একটি শিল্পকর্মের।
—রহমান রানা একজন ফার্নিচার মিস্ত্রি।অভাব অনটনের কারণে দীর্ঘ ২০ বছর ছিলেন ঢাকা ফার্নিচারের দোকানে।যান্ত্রিক নগরের আর ভালো লাগেনা তাই নিজ গ্রামে এসে ফার্নিচারের কাজের ফাঁকে শুরু করেন তার শিল্পকর্ম। দীর্ঘ সময় এই শিল্পকর্মের সাথে জড়িত থাকায় এবার বাড়ির উঠোনে তৈরি করলেন টংঘর । তার শিল্পকর্মগুলোর সবই কুড়িয়ে আনা কাঠ আর শিকড় দিয়ে তৈরি। তৈরি করেছেন টেবিল-চেয়ার-ডাইনিং টেবিল, বাচ্চাদের নানারকম খেলনা, কাঠের তৈরি চায়ের কাপ , ঘোড়া, মাছ, পাখি সহ নান্দনিক জিনিসপত্র। টং ঘর -এ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত থাকে দর্শনার্থীদের আনাগোনা। শখের বসে কেউ কেউ ছবি তোলেন। খাবার অর্ডার করেন।
—-এখানে ঘুরতে আসা মুনতাহা বলেন, কাছের শেকড়-বাকড় দিয়ে যে এত সুন্দর ভাস্কর্য তৈরি করা যায়, তা এখানে না আসলে বুঝতে পারতাম না। এখানে যেকেউ আসলে মুগ্ধ হবে।
—রহমান রানা বলেন, ফেলে দেয়া কাঠ, শেকড়-বাকড় দিয়ে সাজানো হয় টংঘর । এখনো টং ঘরের অনেক কাজ বাকি আছে। ২০ বছরে বিভিন্ন জায়গায় অনেক শিল্পকর্ম করছি,এবার আমার বাড়ির উঠোনে নিজের হাতে তৈরি শিল্পকর্ম দিয়ে সাজানোর চেষ্টা চলছে।এখন আমার শখ পূরণ হচ্ছে আবার এখানে দর্শনার্থীদের কাছে খাবার বিক্রি করে আমার স্ত্রী টাকা ইনকাম করছেন । —-বর্তমানে টংঘরে প্রবেশ করতে কোন টাকা লাগে না।