Shadow

প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলনের বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্র কে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর টি সি দেওয়ার অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর,প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ আরও এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক চর লরেঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন।পরে ওই ছাত্রকে স্কুল ত্যাগের ছাড়পত্র (টিসি) দেয়া হয়। আহত ছাত্রকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর অভিবাবকরা।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকালে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্রের অভিবাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলনের ভাতিজার জন্য নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রের বোনের বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া ওই ছাত্রকে মারধর (নির্যাতন) করে জোরপূর্বক বিদ্যালয় ত্যাগের ছাড়পত্র (টিসি) প্রদান করা হয়। যা নিয়ম বহির্ভূত।

আহত ইয়াছিন আরাফাত সজল উপজেলার চর লরেন্স গ্রামের তুলাতলী এলাকার আহসানুল্লার ছেলে ও চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।এছাড়া রেজাউল করিম একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক।অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক রেজাউল প্রতিবেদক কে বলেন অভিযোগ দিলে স্কুলে দিবে আপনাদের কাছে কেন।

এদিকে এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগীর স্বজন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয় যায় সজল। পরে স্কুলের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম তাকে প্রধান শিক্ষক দোলনের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় স্কুলে অনুপস্থিতির কথা জানতে চাইলে চুপ থাকে সজল। একপর্যায়ে (সজল)কে বেদড়ক মারধর করেন সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম ও প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন। এতে সজল গালে, মাথায় ও পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয়। পরে তাকে টিসি কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়।

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন বলেন, ওই ছাত্র বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করেছে। এ নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে কোন উত্তর না দেয়ায় সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম তাকে থাপ্পড় মেরেছে। পরে ভয় দেখানোর জন্য তাকে টিসি দেয়া হয়েছে।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, নির্যাতনের অভিযোগ পেয়েছি। শুক্রবার (২ জুন) সকাল ১০টার দিকে উভয় পক্ষকে আসার জন্য বলা হয়েছে। দুই পক্ষ থেকে শুনে ব্যবস্থা নেয়া হবে । তিনি আরোও বলেন প্রধান শিক্ষক যে টিসি দিয়েছেন। এইসব টিসি কার্যকর হবে না।