Shadow

বগুড়ার শাজাহানপুরে চন্দ্রহাটা এতিমখানার সভাপতি রইচ উদ্দিন কে অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুরে চন্দ্রহাটা নূরআলা নূর সিদ্দিকিয়া বালক-বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা লিল্লাহ বোডিং এর সভাপতি রইচ উদ্দিন কে অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন করেছে চন্দ্রহাটা গ্রামবাসী। সোমবার ১০ই এপ্রিল দুপুর ৩টায় ওমরদিঘী বাসস্ট্যান্ডে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার ৫নং খরনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চন্দ্রহাটা নূরআলা নূর সিদ্দিকিয়া বালক-বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা লিল্লাহ বোডিং এর সভাপতি ও পরিচালক মৃত আজিম উদ্দিন এর পুত্র মোঃ রইচ উদ্দিন (৭০) প্রাঃ এর বিরুদ্ধে মাদ্রাসা এতিমখানা সহ লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীরা মানববন্ধনে বলেন, মৃত আলহাজ্ব মোবারক আলীর দানকৃত জায়গার ওপর ২০০০ সালে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রইচ উদ্দিন প্রাঃ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মাদ্রাসা, এতিম খানা সহ মাদ্রাসার বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্নসাত করে বগুড়া শহরে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ভবন নির্মান করেছে। বর্তমানে ওই মাদ্রাসাতে ছাত্র-ছাত্রী মিলে প্রায় ৯০জন পড়াশোনা করে আসছে। এতিম খানা থাকলেও নেই সেখানে কোনো এতিম কিন্তু এতিম খানার ফান্ডে আসা অনুদানের টাকা ঢুকে যায় তার পকেটে। এমনকি মাদ্রাসায় আসা অনুদানের টাকা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য ব্যায় না করে বরং ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে মাসিক ফি নিয়ে চলছে নিজের সংসার আর জেলা শহরে গড়েছেন অট্টালিকা। এলাকাবাসী বলেন, উক্ত মাদ্রাসা এতিমখানার হিসাব চাইতে গেলে তিনি নানারকম টালবাহানা করেন কিন্তু সঠিক হিসাব দেয় না রইচ উদ্দিন। এই হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে চন্দ্রহাটা গ্রামবাসীর নামে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি সহ ৩৭টি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের কোণঠাসা করে রেখেছে। এই মামলা গুলো কোর্টে এখনও চলমান আছে। এই মিথ্যা মামলার নিষ্পত্তি হতে না-হতেই গত ৭ই এপ্রিল শুক্রবার বেলা ১০:৩০টায় গ্রামবাসী সবাই নিজের কর্মস্থলে থাকার সুযোগে রইচ উদ্দিন তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী এনে ধারালো অস্ত্র, শাবল, রাম-দা, কুড়াল, লাঠিসোটা দিয়ে গ্রামের কয়েকজন নারী-পুরুষের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। এতে মো: আলামিন (৩৪), মো: এমদাদুল হক (২৩), মোছা: সুফিয়া খাতুন (৩৬), জিয়াউল হক (৪৫) কে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে শাজাহানপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তারা আত্মরক্ষা পায়। মানববন্ধনে গ্রামবাসীরা আরো বলেন, রইচ উদ্দিন একজন রাজাকার সে ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে সখ্যতা করে চন্দ্রহাটা গ্রামের আবুল হোসেন নামে একজন কে গুলি করে হত্যা করেছে তার বিচার এখনো হয়নি। আমরা রইচ উদ্দিনের করা মিথ্যা মামলা, হয়রানির জালায় অতিষ্ঠ উঠেছি। কথায় কথায় রইচ উদ্দিন প্রশাসনের বড় বড় কর্মকর্তার ভয় দেখান। এই রাজাকার, চাঁদাবাজ, ভন্ড, প্রতারক রইচ উদ্দিন কে মাদ্রাসা থেকে অপসারণ, গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে রইচ উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।