Shadow

ভোলায় পারিবারিক বিরোধে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, ঘাতক গ্রেফতার

চীফ রিপোর্টার, ভোলা॥ ভোলায় পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে টুলু (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত টুটুল রাজাপুর ইউনিয়নের রহমান চোকদারের ছেলে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ ফারুককে দায়ী করেছে নিহতের পরিবার। শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ভাঙ্গা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যা কান্ডের ৫ ঘণ্টা পর অভিযুক্ত ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত টুলু ও অভিযুক্ত ফারুক রাজাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেদুয়া সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করে। পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ২৪ নভেম্বর শুক্রবার রাতে টুটুল ও ফারুকের স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর সূত্র ধরে ২৫ নভেম্বর ভোরে টুটুল ও ফারুকের মধ্যে আরেক দফা ঝগড়া হয়। এ নিয়ে টুটুল স্থানীয় মেম্বার ইমাম হোসেনের কাছে বিচার দিলে সে মিমাংশা করে দেয়ার আশ্বাস দেয়। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়রা ভাঙ্গা ব্রিজ সংলগ্নে টুটুলকে ছুরিকাঘাত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ইলিশা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় এলাকার মেম্বার ইমাম হোসেন জানায়, সকাল ৭টার দিকে তিনি জনতা বাজারে গেলে টুটুল তাকে পারিবারিক বিরোধ ও ঝগড়া বিবাদ সম্পর্কে অবহিত করলে সে মিমাংশা করে দেয়ার আশ্বাস দেয়। পরে সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন টুটুলের ছুরিকাঘাতের ঘটনা যানায়।
ঘটনা সম্পর্কে এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, তাৎক্ষণিক ভাবে জানা গেছে টুলু ও ফারুক মেদুয়া সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করে। গতকাল শুক্রবার টুলু ও ফারুকের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়েছে। তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জের ধরে ফারুক ছুরিকাঘাতে টুলুকে হত্যা করেছে। ঘটনার পর ফারুক পালিয়ে গেছে। পুলিশ রক্তাক্ত ছুরিও জব্দ করেছে। টুটুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে হত্যাকান্ডের ৫ ঘণ্টা পর সকাল ১১টার দিকে রাজাপুর ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ফারুক একাই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
ভোলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মামুন অর রশিদ জানান, ঘটনার পর ফারুক পালিয়ে গেলেও ৫ ঘণ্টা পর তাকে রাজাপুর ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে সে একাই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে। তবে এ ঘটনায় শুধু ফারুকই জড়িত নাকি অন্য কেউ আছে সে ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশ। এদিকে টুলুর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।