Shadow

ভোলা-২ আসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র সালাম নিয়ে গণসংযোগে ডঃ শান্ত

মোঃ ফরিদুল ইসলাম, ভোলা। ভোলা-২ আসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সালাম নিয়ে গণসংযোগে ডঃ শান্ত। বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান উপজেলাকে একটি শান্তি’র নীড় গড়ে তুলতে এ এলাকার নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ড.আশিকুর রহমান শান্ত, বিভিন্ন সময়ে ছুঁটে চলেন জনগনের খোঁজ খবর নিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। ভাগাভাগি করে নেয় সুখ-দুঃখ সকলের সাথে। যা বিগত দিনে অন্য কোন সংসদ সদস্যকে এভাবে পায়নি এখানকার জনগণ। তাই দলীয় নেতাকর্মী ও শ্রেনীপেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সহ বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান তৃণমূল চষে বেড়াচ্ছেন ভোলা-২বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও অর্থনীতিবীদ ড.আশিকুর রহমান শান্ত।

উল্লেখ্য,স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সংবিধানপ্রণেতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ভাষাসৈনিক রেজা-এ-করিম চৌধুরী (চুন্নু মিয়া)। ১৯৭৩ সালে এই আসনেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।

বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান নিয়ে আসনটি পুনঃ বিন্যস্ত হওয়ার পর ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য হয়েছেন।আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ। ১৯৮৮ সালে বাঘা সিদ্দিক নামে খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হয়েছেন তোফায়েল আহমেদ।

তোফায়েল আহমেদ ভোলা-১ ও ভোলা-২ আসনে নির্বাচিত হওয়ার পর ভোলা-২ আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মোশারেফ হোসেন শাজাহান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ নির্বাচিত হয়েছেন। ১২ জুন ১৯৯৬ সালে তোফায়েল আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। ১ অক্টোবর ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তোফায়েল আহমদকে হারিয়ে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফিজ ইব্রাহিম নির্বাচিত হয়েছেন। ২৯ নভেম্বর ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তোফায়েল আহমেদ পুনরায় আসনটি ফিরে পান। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তোফায়েল আহমেদ ভাতিজা আলী আজম মুকুলকে আসনটি ছেড়ে দেন।

দুটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ভোলা-২ আসনের মেটি ভোটার সংখ্যা ২৯৭০২৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫২০৯৬ জন এবং নারী ভোটার ১৪৪৯২৭ জন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিসহ (বিজেপি) বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। মনোনয়নের জন্য শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ। তারা দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
পাশাপাশি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। ভোটারদের সঙ্গেও মতবিনিময় করছেন।

সম্প্রতি বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলায় গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ড.আশিকুর রহমান শান্ত গত সোমবার ২৮/৮/ ২০২৩ ইং তারিখে বিকাল ৪ টার সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র সালাম নিয়ে গণসংযোগ করেন, সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে। তারা আরও বলেন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডঃ আশিকুর রহমান শান্ত গণসংযোগ ও সাংগঠনিক যোগাযোগের দিক থেকে এগিয়ে আছেন তিনি।

বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক আবু তাহের বলেন, আমাদের এলাকায় টেকসই উন্নয়ন করতে হলে আওয়ামী লীগ থেকে ড.আশিকুর রহমান শান্তর তোর মতো জনবান্ধব নেতার বিকল্প নেই। তাকে নমিনেশন দিলে আমাদের দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনের জনগণ প্রাণপ্রিয় একজন জনবান্ধব নেতা পাবেন এবং তৃণমূলের সব নেতাকর্মী তার সঙ্গেই থাকবে।

বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোসাঃ আমেনা বেগম বলেন,আমরা আওয়ামী লীগের সমর্থক কিন্তু কখনো দল থেকে কোন সুযোগ সুবিধা পাইনি তাছাড়া আমাদের এলাকায় তেমন উন্নয়ন হয়নি এই আসনে ড.আশিকুর রহমান শান্ত নমিনেশন পেলে এলাকার উন্নয়ন সহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হবে।

দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ ইউসুফ কন্টাক্টর বলেন, দৌলতখান উপজেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত দশ বছরে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি প্রকৃত খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ড.আশিকুর রহমান শান্ত ভাই নমিনেশন দিলে আমরা তার পক্ষে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।

ড.আশিকুর রহমান শান্ত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলায় জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। শান্ত সম্প্রতি ভোলায় এসে প্রায় ৪ মাস অবস্থান করে নিজ নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা ও মতবিনিময় করেছেন। আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশনা দেন।