Shadow

রামগতিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : “ নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ-গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের সাথে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে (২৪ থেকে ৩০ জুলাই) বর্ণাঢ্য র‌্যালী, মৎস্য অবমুক্ত, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩।
এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে একটি বর্ণ্যাঢ্য র‌্যালী উপজেলা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পরিষদের পুকুরে মৎস্য অবমুক্ত করে উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম শান্তুনু চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল, বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহেদ মুরাদ, ভাইস চেয়ারম্যান রাহিদ হোসেন, উপজেলা মৎস্যজীবিলীগ সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দিন চৌধুরী আরজু, কোষ্টগার্ড সিসি মশিউর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা ফারুক, উদ্যেক্তা বেলাল হোসেন। বক্তব্য রাখেন মৎস্যজীবিলীগ সভাপতি বাবর উদ্দিন, মৎস্য চাষী মেজবাহুল মাওলা প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন।
স্বাগত বক্তব্যে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: জসিম উদ্দিন বলেন, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে নানান কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে মৎস্যজীবি র‌্যালী, সরকারী জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করা, আলোচনা সভা, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা তিন জন মৎস্য চাষীকে পুরস্কার প্রদান, জেলেদের সচেতনতামূলক সভা, নিরাপদ মাছ চাষ বিষয়ে অবহিতকরণ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা।
এ সময় তিনি আরো বলেন, উপজেলায় ১৫০০.৪৪ হে: আয়তনের মোট ১৬২৭৮টি পুকুরে ৫৯৯৮মে:ট:, ৫২০০হে: আয়তনের মেঘনা ও ভুলুয়া নদীতে মোট মাছ উৎপাদন ৯৩৯ মে:টন। ১২৩হে: আয়তনের ১৬টি খালে ৬ মে:টন মাছ উৎপাদিত হয়। এছাড়া এ উপজেলায় মাছের মোট উৎপাদন ১৭২২ মে:টন, মাছের চাহিদা রয়েছে ৬১১ মে:টন আর উদ্ধৃত্ত ১১১১০মে:টন মাছ। উপজেলায় মোট মৎস্যজীবি রয়েছে ২০,৭০০জন, নিবন্ধিত নৌযান ৮৫০টি, নার্সারীর সংখ্যা ১৬টি তাতে উৎপাদিত পোনার পরিমান ৯৬ লক্ষ, বরফ কল রয়েছে প্রায় ১৭টি, মাছের খাদ্য বিক্রেতা রয়েছে ১৯টি দোকান, মৎস্য আড়ৎ ০৭টি, মাছ ঘাট ৯টি, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ১টি।
মা ইলিশ রক্ষা, জাটকা নিধন রোধ, ৬৫ দিন সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে, খালের প্রতিবন্ধকতা নিষ্কাষণ,নিষিদ্ধ জাল আটক সহ নানান সময়ে মৎস্য আইন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ বছর পরিচালিত অন্যান্য অভিযানে ৪টি পাইজাল, ১০টি লোতা জাল ও ১০৪টি বেহুন্দি জাল আটক করা হয়।
এছাড়া ফি বছর মা ইলিশ রক্ষা, জাটকা সুরক্ষা, সাগরে মাছ ধরা বিরত থাকার সময়ে সরকার এ উপজেলার জেলেদের মাঝে ৪০০০.৩২মে:টন ভিজিএফের চাল বিতরন করে থাকে।
বর্তমানে জেলেদের জীবনমান টেকসই ভাবে উন্নয়নে দ্বীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে এসডিএফ নামের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা।