Shadow

লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি-সম্পাদকসহ তিনজনকে অবাঞ্চিত ঘোষনা

মোঃ আরিফ হোসেন,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : প্রেসক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে বেপরোয়া প্রতারনা,অর্থ আতœসাৎ সংখ্যালঘু নারী নির্যাতন, সদস্যদের নানা ভাবে হয়রানি ও বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল, সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক ও সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. কাউছারকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সভায় বিক্ষুব্ধ সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘোষনা সহ এমন সিদ্ধান্ত নেয়।

লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের ২০২২-২০২৩ সনের নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক, দেশটিভি ও ভোরের কাগজের প্রতিনিধি মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সাধারন এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বিটিভি ও আমাদের সময়ের প্রতিনিধি ও নির্বাচন প্রস্তুুতি কমিটির সদস্য সচিব মো. জহির উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন নিজামী, প্রেসক্লাব্রে সাবেক সহ-সভাপতি এমজে আলম, আহবায়ক প্রস্তুুতি কমিটির সদস্য সহিদুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাবেক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম ও আব্বাছ হোসেন, সবুজ জমিনের সম্পাদক আফজাল হোসেন সবুজ, মুক্তবাঙ্গালীর সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি কামালুর রহিম সমর, নতুন পথের সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সাগর, সাংবাদিক আহম্মদ আলী, আলমগীর হোসেন, ভাস্কর বসু রায়, মফিজুর রহমান মাষ্টার, আ.অ. বি. আবির আকাশ, আবদুল মালেক নিরব ও মনির হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা এ সময় প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল,সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক এবং তাদের সহযোগী ও দোসর মো. কাউছারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও চাঁদাবাজি এবং দালাল বাজারে এক সংখ্যালঘু নারীর সাথে প্রতারনা করে বিপুল পরিমান অর্থ আতœসাৎ ও অপর সংখ্যালঘু ব্যাক্তির ১২ লাখ টাকা অর্থ আতœসাৎসহ নানা অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া করোনাকালীন সময় জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও পৌর মেয়রস বিভিন্ন স্থান থেকে সদস্যদের নাম দিয়ে ত্রান সংগ্রহ সহ প্রনোদনার নিয়ে তা গোপনে আতœসাৎ করেন তারা। এ ছাড়া সদর উপজেলার চররমনীতে হেলালের চর নামে পরিচিত ভুমিহীনদের সরকারী প্রায় ২শ একর জমি জবর দখলের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এ ছাড়া ভূমি রেজিষ্ট্রি ও উন্নয়নের কথা বলে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করে প্রেসক্লাবের ফান্ডে জমা না করে নিজেরাই আতœসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। সিনির্য় সাংবাদিকদের সাথে ক্ষমতার অপব্যাবহার, অসদাচরন, হেয় প্রতিপন্ন করা, সাধারন সভা না করে ভূয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে নিজেদের মনগড়া গঠনতন্ত্র এবং রেজুলেশন তৈরী, মানহীন মনগড়া সিদ্ধান্ত গ্রহন, প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র লংঘন করে নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে অভিযোগ করেন ক্ষুব্ধ সদস্যরা।

ফলে ক্ষুদ্ধ ও সাধারন সদস্যরা উল্লেখিত তিন ব্যাক্তিকে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব থেকে অবাঞ্চিত ঘোষনা ও স্থায়ী বহিস্কার করার দাবী তোলেন। পরে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে হোসাইন আহমদ হেলাল,আবদুল মালেক ও কাউছারকে প্রেসক্লাবে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়। এ ছাড়া অনিয়ম করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাশাপাশি যথাসময়ে প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন করা, নতুন সদস্য অর্ন্তভূক্তি ও পুরাতন সদস্যপদ (হালনাগাদ) নবায়ন করার জন্য ডাঃ কামালুর রহিম সমরকে প্রধান করে এমজে আলম ও রফিকুল ইসলামকে সহ তিন সদস্যের একটি যাচাই-বাছাই উপ-কমিটি গঠন করা হয়। সভায় প্রেসক্লাবের অধিকাংশ সদস্যরা অংশগ্রহন করে।