Shadow

সভাপতি ফরিদুর রহমান-সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু

ভোলায় আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন
এম. শরীফ হোসাইন, ভোলা ॥ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোলা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি সমর্তিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ৮টি এবং বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ ৫টি পদে জয়লাভ করে। শনিবার (২৯ জানুয়ারী) সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ২টায় শেষ হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্যানেলে ৮টি পদের বিপরীতে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ২শ’ ভোটারের মধ্যে ১৯৮ জন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেছেন।
ভোট শেষে গণনায় দেখা যায়, নির্বাচনে ৯৭ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি প্যানেলের আলহাজ্ব এডভোকেট ফরিদুর রহমান। তার নিকটতম আওয়ামীলীগ প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এডভোকেট স্বপন কৃষ্ণ দে পেয়েছেন ৯৬ ভোট।
১০৮ ভোট পেয়ে সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি প্যানেলের এডভোকেট ইউসুফ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামীলীগের কামাল উদ্দিন সুলতান পেয়েছেন ৬১ ভোট ও ১০৭ ভোট পেয়ে সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি প্যানেলের এডভোকেট হাবিবুর রহমান বাচ্ছু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উমেষ চন্দ্র মজুমদার পেয়েছেন ৮৩ ভোট।
১১০ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ প্যানেলের এডভোকেট মাহাবুবুল হক লিটু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপি প্যানেলের এডভোকেট আমিরুল ইসলাম বাছেদ ৮২ ভোট পেয়েছেন।
সহ সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি প্যানেলের এডভোকেট ইউসুফ (২) ও এডভোকেট ইফতারুল হাসান শরীফ সমান সংখ্য ৯৫ ভোট পান। পরে এডভোকেট ইউসুফকে সম্মতি দিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন এডভোকেট ইফতারুল হাসান শরীফ। ১১২ ভোট পেয়ে সহ সম্পাদক পদে আওয়ামীলীগ প্যানেলের এডভোকেট মওদুদ আলম টুটুল নির্বাচিত হয়েছেন।
১০৩ ভোট পেয়ে অর্থ সম্পাদক পদে বিএনপি প্যানেলের এডভোকেট কাওসার আহমেদ বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ প্যানেলের এডভোকেট সুজন কৃষ্ণ দে পেয়েছেন ৮৯ ভোট।
৯৮ ভোট পেয়ে ধর্ম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি প্যানেলের এডভোকেট তোয়াহা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ প্যানেলের এডভোকেট জাকির হোসেন (২) পেয়েছেন ৯৩ ভোট।
১২২ ভোট পেয়ে পাঠাগার সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ প্যানেলের এডভোকেট বাবলু হাসান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৭৮ ভোট। এছাড়া বিএনপি প্যানেলের এডভোকেট মানজুরুল ইসলাম ১০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট সফিউল্লাহ্ ৫৯ ভোট পেয়েছেন।
এ ছাড়া সদস্য পদে ১২১ ভোটে এডভোকেট আবুল কাশেম (আওয়ামীলীগ), ১২২ ভোটে এডভোকেট সালাউদ্দিন প্রিন্স (বিএনপি), ও ১০৫ ভোটে এডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস জুবলী চৌধুরী (আওয়ামীলীগ) নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন যুগ্ম জেলা জজ মোহাম্মদ সামছুদ্দিন। নির্বাচন কমিশনার দায়িত্বে ছিলেন আলহাজ্ব এডভোকেট নাছির উদ্দিন। এই কমিটি আগামী এক বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভোলা জেলা আইনজীবী সমিতির একজন ভোটার গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যালট পেপারে ক্রসচিহ্ন না দিয়ে টিকচিহ্ন দেয়ায় প্রাথমিকভাবে ওই একটি ভোট বাতিল করা হয়। কিন্তু অপর একজন ভোটার প্রার্থীদের নামের সামনে অঙ্কিত নির্ধারিত খালি ঘরে ক্রসচিহ্ন না দিয়ে প্রার্থীর নামের সামনেই ক্রসচিহ্ন দিয়েছেন এবং নির্বাচন কমিশন এই ভোটটি গণনা করেছেন। এই ব্যালটে সভাপতি পদে বিএনপি প্রার্থী ভোট পেয়েছেন। কিন্তু ভোট গণনা শেষে যখন দেখা গেছে মাত্র এক ভোটের ব্যাবধানে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হচ্ছেন। তখন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সমর্থকরা ক্রসচিহ্ন দেয়া ভোটটিও বাতিল করার দাবি করেন। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে ফালাফল ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়। পরবর্তিতে নির্বাচন কমিশন ভোলা বারের সিনিয়র সদস্যদেরকে নিয়ে গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে ক্রসচিহ্ন দেয়া ভোটটি গণনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর সভাপতি পদে বিএনপি প্রার্থী ফরিদুর রহমানকে বিজয়ী করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।