Shadow

নন্দীগ্রামে চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে নৌকা ১, স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থী বিজয়ী

সুমন কুমার নিতাই, বগুড়া প্রতিনিধি: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে বগুড়ার নন্দীগ্রামে ৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয় হয়েছে । ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৪টি ইউপি নির্বাচনের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে ১টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন। প্রাথমিক তথ্যে মতে, ২নং সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম কামাল (আনারস) ৫ হাজার ৯৬০ ভোটে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রভাষক আব্দুল বারী বারেক (চশমা) ভোট ৫ হাজার ৮৯৩। ৩নং ভাটরা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী (নৌকা) ১০ হাজার ৬০৯ ভোটে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহেল বাকী (ঘোড়া) ৮ হাজার ২৩৪ ভোট পেয়েছেন।৪নং থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন (আনারস) ৮ হাজার ৯০৭ ভোটে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিল্লুর রহমান (অটোরিক্সা) ৭ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়েছেন। ভাটগ্রাম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ (চশমা) ৮ হাজার ৪৩৮ ভোটে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জুলফিকার আলী (নৌকা) ৬ হাজার ২৪০ ভোট পেয়েছেন। ২৬ ডিসেম্বর রোববার সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৪৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৫০ হাজার ৮৮১ ও মহিলা ৫১ হাজার ১১৪ জন। উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল শতভাগ। নির্বাচনে সকল অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। ৪টি ইউনিয়নে ২ প্লাটুন বিজিবি, পুলিশের মোবাইল টিম ও র‌্যাব সদস্যরা টহল দিয়েছেন। এছাড়া দায়িত্বরত ছিলেন ৫জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৪জন করে পুলিশ সদস্য ও ১৭ জন আনসার সদস্যের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশের সদস্যরাও দায়িত্বে ছিলেন। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোনো অপপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচনে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক ও পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুম আলী বেগ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আব্দুর রশিদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাত, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ, সহকারী পুলিশ সুপার আহমেদ রাজিউর রহমান, থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।