Shadow

পাবনার আটঘরিয়ায় এই প্রথম ‘ব্লাক বেবি’ তরমুজ চাষে সফল কৃষক শাহীন

ইব্রাহীম খলীল, পাবনা জেলা প্রতিনিধি: পাবনার আটঘরিয়ায় এই প্রথম বারের মতো “ব্লাক বেবি” জাতের তরমুজ জাংলায় (মাঁচা) চাষ করে বাজিমাত করেছেন কৃষক শাহীন। আর প্রথম বারেই সাফল্য পেয়েছেন সে। খেতে সুস্বাধু হওয়ায় কম খরচ করে অধিক ফলনও পেয়েছেন তিনি।

এই জাতের তরমুজ পাইকারী ও খুচরা বাজারের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তাই বেশি দামও পাচ্ছেন তিনি। তবে আগামীতে আরো বেশি জমিতে এই তরমুজ চাষ করার পরিকল্পনা করছেন কৃষক শাহীন।

অন্যদিকে এবছর বারি তরমুজ চাষিদের সফলতা দেখে নতুন নতুন অনেক কৃষক এ জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

দেড় বিঘা জমিতে ব্লাক বেবি তরমুজ চাষ করে লাখ টাকা আয় হয়েছেন বলে তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামে কৃষক দেড় বিঘা জমিতে আধুনিক নতুন জাতের ব্লাক বেবি নামক এই তরমুজ পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করেন।

ক্ষেতে রোগ ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় কম পরিমাণে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। ফলে হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকদের মুখে। আর ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বিক্রি করে ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা।

শাহীন আলী জানান, তিনি ব্লাক বেবি জাতের তরমুজ এবছর প্রথম জাংলায় চাষ শুরু করেন। এই তরমুজ চাষে আমার খরচ বাদে লাখ খানেক টাকা আয় হয়েছেন বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বীজ সার মারচিং পেপার সংগ্রহ করে প্রথম জাংলায় এই তরমুজ চাষ শুরু করেন। ক্ষেতে তরমুজের ব্যাপক ফলন হয়েছে। এতে আমি খুবই খুশি।

এ তরমুজ ক্ষেতে রোগ ও পোকার আক্রমণ কম থাকে। তাই বেশি পরিমাণ সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। এই জাতের তরমুজ খেতে খুবই সুস্বাদু হওয়ায় খুচরা ও পাইকারি বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই আমি ব্লাক বেবি তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছি।

একই এলাকার কৃষক মহসিন আলী জানান, শাহীন আলী প্রথমে ব্লাক বেবি নামক এই তরমুজ চাষ হয়েছে। ক্ষেতে ব্যাপক ফলন হয়েছে। এটি অন্যান্য তরমুজের চেয়ে অনেক লাভজনক ফসল। আমিও আগামীতে এই জাতের তরমুজের চাষ করব।

আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সজীব আল মারুফ জানান, আমরা এবছর ব্লাক বেবি নামক এই তরমুজ পরীক্ষামূলকভাবে কৃষক শাহীন আলীকে চাষ করিয়ে সফলতা পেয়েছি। তাকে আমরা বীজ, সার, কীটনাশকের পাশাপাশি পরামর্শ দিয়েছি।

কৃষকদের ক্ষেতে এই তরমুজের ব্যাপক সফল হয়েছে এবং বাজারে দামও ভালো পাচ্ছেন। এতে কৃষক শাহীন অনেক খুশি। নতুন নতুন অনেক কৃষক এই তরমুজ চাষ করার জন্য আগ্রহী হয়েছেন। আমরা আগামীতে অনেক কৃষকদের দিয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে ব্লাক বেবি তরমুজ চাষ করাব।