Shadow

অতিরিক্ত টাকা ছাড়া মেলেনা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ !

(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় অনলাইন খরচের নামে ভূমি উনয়ন কর পরিশাধ নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। প্রতিটি ভূমি উনয়ন কর পরিশাধর রশিদই উল্লেখ করা টাকার বাইরে আদায় করা হচ্ছে প্রায় দ্বিগুন টাকা। এমন অভিযাগ উঠার পর গত কয়েকদিন ধরে অনুসন্ধ্যানে জানা যায়,গত ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নর ভাবনচুর-৬২ মৌজার ৫১০ নং খতিয়ানব৪১৭৩ নং দাগ ১১ শতক জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করন ভাবনচুর বাজার এলাকার বছির উদ্দিনের ছেলে নুরবক্স। রশিদে মোট ৪৬০ টাকা উল্লেখ থাকলেও কর পরিশোধের শুরুতেই ৮০০ টাকা দরদাম কর নেন, গোলমুন্ডা ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি অফিসার শ্রী গনশ চদ্র। প্রয়াজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে ৮০০ টাকা দিয়েই রশিদ গ্রহন করেন নুরবক্স। তার কাছে নেওয়া হয় অতিরিক্ত ৩৪০ টাকা। একই মৌজার দুইটি দাগে কর পরিশোধ করেন হলদিবাড়ী এলাকার মোকলেছুর রহমান। প্রথম রশিদ ৫৭৬ টাকা এবং দ্বিতীয় রশিদ ৫৩৫ টাকাসহ মোট ১ হাজার ১১১ টাকা রশিদ উল্লেখ থাকলেও মোকলেছুর রহমানের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহন করেন ওই ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি অফিসার। তার কাছে অতিরিক্ত নেওয়া হয় ৩৮৯ টাকা। একই মৌজার ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদে মাত্র ৮০ টাকা উল্লেখ থাকলেও হলদিবাড়ী এলাকার শাহাজাহান আলীর কাছে নেওয়া হয় ৩০০ টাকা। তার কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্তি ২২০ টাকাই চলে যায় গোলমুন্ডা ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি অফিসার শ্রী গনশ চদ্রের পকেটে। অফিস খোলা থাকাকালীন সময় এভাব প্রতিদিন অর্ধশত জমির মালিক গোলমুন্ডা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আসেন জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। আর অতিরিক্তি টাকা না দিলে কর পরিশোধ বিভিন্ন পুরাতন কাগজপত্র চায় ওই ভূমি অফিসার। এত ভাগাÍির শিকার হন জমির মালিকরা। এছাড়াও সাধারন মানুষদের সেবা প্রদানের জন্য সরকারি ল্যাপটপ বাড়িতে রেখে অফিসে শুধু কাগজ কলমে কাজ করেন ওই ভূমি অফিসার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষদের ভার্গরোধে এবং দ্রুত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে অনলাইনের মাধ্যমে সেবা প্রদানের ব্যবস্থা চালু করলেও এসব অসাধু অফিসারদের কারনে তা প্রশ্নর সম্মুক্ষিন হয়ে পড়ছে। ভুক্তভাগি নুরবক্স,মোকলেছুর রহমান ও শাহাজাহান আলী বলেন,‘‘অনলাইন খরচের কথা বলে রশিদে উল্লেখ থাকা টাকার বাইরে আমাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন গোলমুন্ডা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী অফিসার শ্রী গনশ চদ্র। এছাড়াও দুই এক দিন পূর্বই টাকা বুঝে নিয়ে তারপর রশিদ প্রদান করেন তিনি। এখান আমাদের জিম্মি করেই নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা,আর আমরাও প্রয়াজনের চাহিদায় তা দিতে বাধ্য হচ্ছি।’’ অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয় গোলমুন্ডা ইউনিয়ন ভূমি অফিসর উপ-সহকারী ভূমি অফিসার শ্রী গনেশ চদ্রের সাথে মুঠোফানে যোগাযোগ করা হলে তিনি অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয় কেন সদুত্তর না দিয়ে এ প্রতিবেদকের সাথে সাক্ষাত দেখা করবে বলে ফোন কেটে দেন তিনি। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন,‘‘ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদে উল্লেখিত টাকার বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই,তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ জেলা প্রশাসক খদকার ইয়াসির আরফীন বলেন,‘‘রশিদের বাইরে অতিরিক্ত নিলেই তার বিরুদ্ধ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হব।’’