Shadow

ভোলায় বাজার চড়া, সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ

ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলায় জমে উঠেছে শীতকালীন সবজির বাজার। তবে চড়া দামের কারণে কিনতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতারা। শীতকালীন সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্ন আয়ের মানুষের। তবে বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি উঠছে। তাই দামও একটু বেশি। তবে পুরোপুরি শীত শুরু হলে এই দাম কমবে বলেও জানান বিক্রেতারা।
ভোলা সদর উপজেলার কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, আকার ও জাত ভেদে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙের কেজি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা কেজি, বরবটি ৮০ টাকা কেজি, করলা ৯০ টাকা কেজি, পটল ৫০ টাকা কেজি, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা কেজি, বেগুনের আকার ও জাত ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। ক্যাপসিকাম ২২০ টাকা কেজি, শিম ১০০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি, ফুলকপির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে, বাঁধাকপির কেজি ৬০ টাকা ও মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। কয়েক দিন আগে যে ডিমের হালি ৩০ টাকা ছিল। সেই ডিমের হালি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। এ ছাড়া কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজির দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ভোলা সদর উপজেলার যুগিরঘোল এলাকার সবজি বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম ও মো. রুবেল জানান, বাজারে আগাম শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও বেশি দামে সবজি কিনে আনতে হচ্ছে, তাই একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়।
শহরের যুগিরঘোল বাজারে লাল শাক কিনতে আসেন শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর এলাকার ইয়াসমিন নামের এক গৃহিণী। ৩ মুঠো লাল শাকের দাম ২৫ টাকা শুনেই রাগান্বিত হয়ে লাল শাক না কিনেই শূন্য হাতে বাড়ি চলে যান ওই ক্রেতা। ওই বাজারে সবজি কিনতে আসা একই ইউনিয়নের নবীপুর এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. সামছুদ্দিন বলেন, ‘বাজার দামে অতিষ্ঠ। যদি কামাই করি ৫০০ টাকা, খরচ হয় ১০০০ টাকা। পোলাপান কেমনে চালামু হেই চিন্তা করছি।
তিনি আরো বলেন, ‘ছেলে এ রব স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ছে। ওই প্রতিষ্ঠানে ৪ মাসের বেতন বাকি। এ সময় সামছুদ্দিন প্রশ্ন করে বলেন, ‘সংসার চালামু কেমনে, আর ছেলেমেয়েকে পড়ালেখা করামু কেমনে ? সরকার বাজার মূল্য দমানের কথা। কিন্তু উল্টো বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ব্যবসায়ী আকবর মিয়া বলেন, ‘আমাদের বেচাকেনা ভালো না। শীতকালীন সবজির দামই শুধু নয়, তেলের দামও বাড়তি। গ্যাসের দাম বাড়তি। সবকিছুর দামই বাড়তি। আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মোবাশ্বির উল্ল্যাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাজার মূল্য বৃদ্ধিতে অসৎ ব্যবসায়ী চক্র জড়িত। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ব্যর্থ।
তবে ভোলার বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর দাবি করে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাজার মনিটরিং টিম কাজ করছে। আমি এডিএম স্যারকে জানিয়েছি। উপজেলা প্রশাসনও তৎপর রয়েছে।