Shadow

মেঘনা তীর সংরক্ষণ বাঁধ প্রকল্প সেনাবাহিনীর অধিনে  চায় কমলনগর-রামগতিবাসী। 

আনোয়ার হোসেন, লক্ষ্মীপুর  ঃ লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতির মেঘনাতীর সংরক্ষণ বাঁধ প্রকল্প সেনাবাহিনীর অধিনে বাস্তবায়ন চায় এলাকাবাসী। ইতিমধ্যেই ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে এ দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকার সচেতন মহল । এমনকি কমলনগর রামগতির প্রায় অধিকাংশ সচেতন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দও এই দাবি জানিয়ে আসছেন।

ইতিমধ্যেই কমলনগর এবং রামগতি উপজেলায় মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এতে প্রথম অবস্থায় ৩ কিলো ৪শ মিটার কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষের পর আগামী ১ নভেম্বর থেকে কাজ শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে আরো দরপত্র প্রকাশ হবে বলে জানিয়েছেন, লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফারুক আহমেদ। তবে প্রথম  থেকেই সেনাবাহিনীর মাধ্যমে যাতে মেঘনাতীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয় সে দাবি জানিয়ে আসছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

গত বুধবার (১৫ আগষ্ট) জাতীয় পত্রিকায় এই টেন্ডার প্রকাশ করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। জানা যায়, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় ৪টি প্যাকেজে মোট ৩৪শ মিটার রক্ষাবাধঁ নির্মান করা হবে। বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বর টেন্ডার চুড়ান্ত হবে।

এদিকে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রামগতি ও কমলনগরের মানুষ আবারো সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাঁধ নির্মান প্রকল্পটি বাস্তবায়নের  জোর দাবি জানিয়ে ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে সক্রিয়  রয়েছেন। তাদের দাবি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ করলে সহসায় বাঁধ ধসে যায়। বিগত দিনেও রামগতি ও কমলনগরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কিছু জায়গায় বাঁধ নির্মাণ করলেও তা টেকসই হয়নি ধসে গেছে। এলাবাসীর দাবি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে রামগতিতে যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিলো যা স্থায়ীভাবে টিকে যায় এবং পরবর্তীতে তা দর্শনীয় স্থানে পরিনত হয়। এজন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জন্য রামগতি ও কমলনগরের মানুষের আস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।