Shadow

মৎস ও কৃষি

অভিন্ন অনুভব

অভিন্ন অনুভব

গল্প, নিউজ এক্সক্লসিভ, প্রচ্ছদ, বিশেষ প্রকাশনা, মৎস ও কৃষি, রেডিও প্রয়াস
মেহেরুন নেছা রুমা:: সেবারও এমনই হয়েছিল। প্রতিবারই এমন হয়ে শেষ পর্যন্ত শেষই হয়ে যায় সবকিছু। খুব কষ্ট পায় রেণুকা। আঘাতে আঘাতে মনের পাঁজরের হাড়গুলো চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে জীবনটা কেবল ফাঁকা ফাঁকা লাগে। প্রথমবার মনে হচ্ছিল এমন ঘটনা জীবনে কেবল একবারই হতে পারে, একবারই আসে ভালোবাসা-জীবনে, এবং হারিয়ে গেলে তা আর কখনোই ফিরে আসে না। এমন কষ্টের দহন, দহনের কষ্ট জীবনে বারবার আসা কিছুতেই সম্ভব না। কিন্তু রেণুকার ধারণা ভুল প্রমাণিত করে দ্বিতীয় কেউ আসল জীবনে। দ্বিতীয়’র সাথে সাথে, হ্যাঁ, ধরতে গেলে একই সমান তালে, হয়তো’বা একটু আগ-পিছ করে তৃতীয়, চতুর্থবারও হল। প্রায় কাছাকাছি গল্প, চরিত্র, কাছাকাছি অনুভূতি আর কষ্টের দাগগুলোও ছিল প্রায় একই রকম গভীর, খাঁজকাটা বেদনাদায়ক। সেসব উতরেও এসেছিল রেণুকা। আসতে কী পেরেছিল সে? কী যন্ত্রণাই না পোহাতে হল ঘরে -বাইরে। তখন মনে হত এর চেয়ে মরণও ভাল এবং সহজ। কিন্তু জীবনের প্রতি মায়া সে ওত...
গ্রীক নাটকে প্রথম প্রতিবাদী নারী

গ্রীক নাটকে প্রথম প্রতিবাদী নারী

নাটক, পাঠক প্রতিক্রিয়া, প্রচ্ছদ, বিনোদন, মৎস ও কৃষি
এসকাইলাসকে আমরা জানি প্রতিবাদী নাট্যকার হিসাবে। তার ‘প্রমিথিউস বাউন্ড’ বিশ্বসাহিত্যে প্রতিবাদের প্রথম প্রতীকরূপে গৃহীত। দেবতা প্রমিথিউস মানুষের মুক্তির জন্য আগুন চুরি করেছিলেন দেবরাজ জিউসের ভাণ্ডার থেকে। মানুষের মুক্তির জন্য দেবতা হয়েও তিনি দেবতাদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। তাই প্রমিথিউস আজ মানবমুক্তির মহানায়ক। আর গ্রীক ট্র্যাজেডির আদিপিতা এসকালাইস একই সঙ্গে হয়ে ওঠেন বিশ্বনাটকের প্রথম প্রতিবাদী চরিত্রের নির্মাতা। কিন্তু কেবল প্রমিথিউসই নয়, বরং অরেস্ট্রিয় ট্রিলজি রচনা করে এসকাইলাস হয়ে উঠেছেন আরো বেশি জরুরি এবং আজও প্রাসঙ্গিক। আত্রিউস পরিবারের পৌরাণিক কাহিনিকে কেন্দ্র করে অরেস্ট্রিয় ট্রিলজি রচিত। কিন্তু কাহিনি নয়, এ নাটকের কেন্দ্রিয় চরিত্র আলোচনা করাই এ নিবন্ধনের লক্ষ্য। অ্যাগামেনন, খিয়োফেরি, ইউমেনিদাইস- এই তিনটি নাটককে একত্রে বলা হয় অরেস্ট্রিয় ট্রিলজি। তিনটি নাটকেরই উল্লেখযোগ্য একটি চর...
একরোখা শিশু সামলাবেন কীভাবে ?

একরোখা শিশু সামলাবেন কীভাবে ?

অন্যান্য সংবাদ, প্রচ্ছদ, প্রয়াস পরিবার, প্রেরণা, মতামত, মৎস ও কৃষি, লাইফ স্টাইল
নয় বছরের তমালকে (ছদ্মনাম) নিয়ে তো প্রায়ই বিপদে পড়তে হয় ওর বাবা-মায়ের। শপিং মলে গেলে কোনো কিছু কেনা তার চাই-ই চাই। আর সেটা না কিনে দিলে মাটিতে গড়াগড়ি। সবার সামনেই চিৎকার, কান্নাকাটি—সে এক হুলুস্থুল অবস্থা। আদর দিয়ে, ধমক দিয়ে, বুঝিয়ে—নানাভাবেই চেষ্টা করে দেখেছেন, কোনোভাবেই তমালকে বোঝানো যায় না। ফলে চাহিদামতো জিনিস তাকে কিনে না দিয়ে কোনো উপায়ও থাকে না। অপর দিকে ছয় বছরের ছোট্ট মিথিলা (ছদ্মনাম) খুব মিষ্টি হলেও খাওয়া, পড়া সবকিছুতেই তার জেদ ধরা চাই। একবার না বললে কোনোভাবেই যেন সেটা হ্যাঁ হবে না। মনোবিজ্ঞানে কিছু শিশুকে বলা হয় ‘সহজে মানানো যায় না এমন শিশু’ বা ‘ডিফিকাল্ট চাইল্ড’। ১০ শতাংশ শিশু এমন হয়ে থাকে। এ ধরনের বাচ্চারা অল্পতেই উত্তেজিত হয়। একরোখা হয়। সহজে কথা শোনে না বা সন্তুষ্ট হয় না। মনোবিজ্ঞানী চেস ও থমাসের মতে, ৪০ শতাংশ শিশুকে বলা হয় ‘সহজে মানানো যায় এমন শিশু’। যাদের খাওয়া, ঘুম, বাথরুম ই...