Shadow

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দৌলতখান- বোরহানউদ্দিনের বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে দুই নেতার লড়াই

 ভোলা প্রতিনিধি : আসছে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সমনে রেখে ভোলা-২ আসন দৌলতখান- বোরহানউদ্দিন এর জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে দুই নেতার মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম এবং তারেক রহমান আন্তর্জাতিক পরিষদ (ইউএস) এর সভাপতি জাহাঙ্গীর এম আলমের মধ্যে এ নেতৃত্ব নিয়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দিতা চলছে। দুই নেতার নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়নের কারণে তৃণমূল নেতাকর্মীরাও দ্বিধা বিভক্তিতে হাঁটছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘ বছর ধরে দৌলতখান- বোরহানউদ্দিনের বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিয়ন্ত্রন করছেন এক সময়কার প্রভাবশালী সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম। বিগত আন্দোলন সংগ্রামের সময় দুই উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীরা মামলা  মোকদ্দমায় নিপতিত হয়ে জেল-জুলুমসহ বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কিন্তু সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম ক্ষতিগ্রস্থ ঐসমস্ত নেতাকর্মীদের পাশে দাড়ান নি বলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে একধরনের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি এখন পর্যন্ত দুই উপজেলার বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমেও গতি ফিরিয়ে আনতে সম্পূর্ন ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে  নেতা কর্মীরা তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এদিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের সন্তান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তারেক রহমান আন্তর্জাতিক পরিষদ (ইউএস) এর সভাপতি ও ভোলা জেলা বিএনপির সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর এম আলম  ভোলা-২ আসন থেকে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে দলের নেতা কর্মীদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে ছিলেন। কিন্তু ৫ জানুয়ারী বিতর্কিত নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় সে সময় তার এ যাত্রা ব্যাহত হয়। তবে থেমে যাননি জাহাঙ্গীর আলম। তৃণমূলে যোগযোগের মাধ্যমে নিজেকে জানান দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে কাজ করে আসছেন। দুটি উপজেলার দায়ীত্বশীল নেতাকর্মী ও তৃণমূল নেতাকর্মীর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগের ফলে নেতাকর্মীরাও তার প্রতি দুর্বল হয়ে পরে। ফলে দৌলতখান-বোরহানউদ্দিনের বিএনপির নেতাকর্মীরা দু ভাগে বিভক্ত হচ্ছে। সম্প্রতি জাহাঙ্গীর এম আলম এর সামাজিক ও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে মানুষের মাঝে একধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, হয়তোবা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাফিজ ইব্রাহিমের বিকল্প জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। এক সময়ে মাঠে হাফিজ ইব্রাহিমের বিকল্প কোন প্রার্থীর চিন্তাও করেননি ভোলা দুই আসনের বিএনপি দলীয় সমর্থকরা। কিন্তু বর্তমানে হাফিজ ইব্রাহিমের জনসমর্থনের কাছাকাছি পৌছে গেছেন জাহাঙ্গীর এম আলম। নেতাকর্মীরা মনে করেন, ধানেরশীষ প্রতিক নিয়ে আসলে আমরা জাহাঙ্গীর আলমেরও ভোট করব। কারণ মাঠে বিকল্প নেতা না থাকলে কর্মীদের মূল্যায়ন হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *