এ আই তারেক, কমলনগর,লক্ষ্মীপুর। সারাদেশের মতো লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলায় উপকূলীয় অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে দৃষ্টি দিয়েছে সরকার। গরিব মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পরিবারে বিনামূল্যে দেয়া হবে হাঁস, মুরগি, ভেড়া। তাদের পালনের জন্য ঘরও করে দিবে এতে গরিব মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ।
এছাড়া ক্ষুদ্র খামার স্থাপন করে ডিম ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার দির্ঘ প্রচেষ্টা ।
এসব পরিবারের নারীদের স্বনির্ভর করে তুলতে তিন বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ’১৯ সালের মে মাসে শুরু এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯৫ কোটি ৩৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।
এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলাসহ ১৬ উপজেলার মোট ৬৮ ইউনিয়ন। সুফলভোগীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪০৮ পরিবার।
সুফলভোগীদের প্রদেয় উপকরণের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রকল্পভুক্ত প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে মোট ৬৮ কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা কৃষকদের মাঝে সর্বক্ষণিক সেবা দেবেন। প্রতি ইউনিয়নে সর্বোচ্চ বিশটি গ্রুপে ৫শ’ সুফলভোগী পরিবার প্রকল্পভুক্ত হবে। এর মাঝে ২৫০ পরিবার ১৮ স্ত্রী হাঁস, দুটি পুরুষ হাঁস, ১৫০ পরিবার ১৮ মুরগি, দুটি মোরগ, একশ’ পরিবার দুটি ভেড়ি, একটি ভেড়া, একটি পরিবারকে কবুতর পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও একটি কবুতরের ঘর এবং ৫ জনকে উন্নত মানের নেপিয়ার ঘাস উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দেয়া হবে। চর ফলকন ইউনিয়নের (এল এফ এফ) আরমান হোসেন বলেন, প্রতিটি সুফল ভোগির সাথে যোগাযোগ রেখে হাঁস, মুরগী, ভেড়া প্রতিপালনসহ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি আমরা ইউনিয়ন প্রতিনিধিগন।
কমলনগর উপজেলা প্রাণি সমম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আক্তারুজ্জামান জানান, উপকূলীয় অঞ্চলের এই সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে কমলনগরে ৭ টি ইউনিয়নে ৩৫০০ টি গরিব পরিবারের উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।