নীলফামারী প্রতিনিধি।lবর্তমান নারীরা অভিশাপ্ত এ দেশে, আমার মা বোনেরা অভিশাপ্ত এ দেশে, তারা নিরাপদ নয়, গ্রাম গঞ্জের নারীরা নিরাপদ নয়, ওদের রাস্তায় ধর্ষন করে, ছবি তোলে, ইভটিজিং করে, এ জন্য কেস হয়, মামলা হয় কিন্তূ শাস্তি হয় না।খুন, গুম আর মামলা – এর কোন হিসাব নেই। অর্থাৎ এ দেশে মানুষ রাখবে না। আওয়ামীলীগ ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না। এমনটি হতে পারে না। আমরা হতে দিব না। আমরা আছি, আমরা থাকবো – এই অবহেলিত মানুষ গুলোকে মুক্ত করবো। তাই এখন মানুষ পরিবর্তন চায়। দল নিয়ে মানুষ এখন চিন্তিত ও হতাশা। মানুষ মুক্তি চায়..? পরিবর্তন চায়..? মুক্তি ও পরিবর্তন করতে পারি আমরা। আমরা মানুষকে ভালোবাসি, গ্রামের মানুষকে ভালোবাসি সাধারন মানুষকে ভালোবাসি। আমার জন্য কঠোর রোদের মধ্যে দাড়িঁয়ে আছেন।এ দেখে আমার মনের মধ্যে আগুন জ্বলছে। কবে মুক্ত করবো এই মানুষ গুলোকে, কবে মুক্ত করবো এই অত্যাচারী শাসক থেকে। যেদিন মুক্ত করতে পারবো সেদিন আমি শান্ত হবো। এর আগে আমার মনের আগুন নিববে না। ১৬ এপ্রিল (সোমবার) দুপুরে জলঢাকা ডাকবাংলো মাঠে বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজ সেবক ডাঃ বাদশা আলমগীরের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবি এবং রাজনৈতিক দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন, সাবেক সফল রাষ্টনায়ক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ। তিনি ক্ষমতাশীল আওয়ামীলীগের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, দেশে কোন চাকরি নেই, যে কটা চাকরি আছে, তা শুধু আওয়ামীলীগের জন্য। আমাদের জন্য নেই। উক্ত কর্মী যোগদানের বিশাল জনসভায় উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব শাহ্ আব্দুল কাদের বুলু চৌধূরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, প্রেসেডিয়াম সদস্য প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, বিরোধী দলিয় চীপহুইপ শওকত আলী চৌধূরী এমপি, ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জাপা নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাতিয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর খালেদ আক্তার, ডোমার ডিমলার সাবেক সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী ও নীলফামারী জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব এ কে এম সাজ্জাদ পারভেজ প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ চার দলীয় জোট সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি’র অবস্থা তো আপনারা জানেন, ওই দল বর্তমান কেরোসিন।বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়ে বিনা কারনে আমাকে ছয় বৎসর জেলে রেখেছে। আমার বউ বাচ্চাকে জেলে দিয়েছে। আমি অসুস্থ্য ছিলাম, চিকিৎসা করে নাই। ওনার কাছে আমার স্ত্রী গিয়ে ছিলো। তাকে বলে মরতে দাও এরশাদকে। কিন্তূ এরশাদ মরে নাই। জনগনের দোয়ায় আজো বেঁচে আছে। আর আজ আপনি কোথায়..? তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে শুনে ছিলাম ব্যাংকে অনেক টাকা। নেওয়ার লোক নেই..? এখন শুনছি সব ব্যাংক খালী। কোন টাকা নেই। এত টাকা কোথায় গেল। এই সব টাকা আওয়ামীলীগের পকেটে গেছে। ও টাকা ওদিক দিয়ে বিদেশে গেছে। এরা মনে করে সরকার চলে গেলে মনে হয় জীবন রক্ষা পাবে না। সে জন্য টাকা পাঠিয়েছে বিদেশে। একটু এদিক ওদিন দেখলেই চলে যাবে। ওরা বাঙ্গালী হলেও মানুষ নয়। ওরা মানুষকে ভালোবাসে না। নিজেদের ভালোবাসে।আর কাহারো ভালোবাসে না। তাই পরিবর্তন আনতে হবে। পরিবর্তন আসবে। আনতে হবেই। এ ভাবে মানুষ বাচঁতে পারে না। বর্তমান শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ। মানুষ নিঃশ্বাস নিতে পারে না। কথা বলতে পারে না, প্রেস কথা বলতে পারে না, প্রেস লিখতে পারে না। এ ভাবে দেশ চলতে পারে না। এই ধব্বশাক্তক দেশ রক্ষার্থে আমি আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা চাই। এ সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দ্যোশ্যে বলেন আমার যথেষ্ট বয়স হয়েছে। এই বয়সে সাধারনত্ব কোউ চলাফেরা করে না। আপনারা দোয়া রাখবেন আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত আমি যেন বেঁচে থাকি এবং জাতীয় পার্টিকে সরকার প্রধান হিসাবে দেখতে পাই। এটি সম্ভব হবে যদি আপনারা জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকে শুনিশ্চিত ভোট প্রয়োগ করেন। এর আগে সকাল ১১টা বেঁজে ৪৫ মিনিটে বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে প্রবেশ করেন সাবেক এ রাষ্ট নায়ক। প্রথমে তাকে গার্ড অব অনার্র দেওয়া হয়। পরে মঞ্চে উঠে উপস্থিত নেতাকর্মীর উদ্দিশ্যে হাত তুলে স্বাগত জানিয়ে আসন গ্রহন করেন। উক্ত কর্মী যোগদান সমাবেশে জেলা ও জলঢাকা উপজেলা জাতীয় পার্টির কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করে জলঢাকা উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মমিনুল ইসলাম মঞ্জু।