Shadow

এবার সিম নিবন্ধন নিয়ে মাননীয় মন্ত্রী দিলেন নতুন ঘোষণা

জাতীয় ডেস্ক : বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (আঙুলের ছাপ) সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দায়ের করা রুল কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। আজ বুধবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বাংলালিংক ও টেলিটকের এক চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী। তারানা হালিম বলেন, ‘ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করতে হবে। অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী, স্মাগলার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীসহ চিহ্নিত একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে। তাদের স্বার্থে বড় আঘাত এসেছে।’ তবে যত বাধাই আসুক, দেশের ও দেশের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে এ কার্যক্রম শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারানা হালিম। টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের মামলার কোনো ভিত্তি আছে বলে আছে বলে আমরা মনে করি না। মামলা আমরা সঠিকভাবে মোকাবিলা করব। এটা একটা রুল। এতে আমাদের কার্যক্রমে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। আমরা সঠিক সময়ে আদালতের কাছে কোনো অতিরিক্ত সময় না নিয়ে রুলের জবাব দেব।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এ মামলার আমরা জিতব, ওরা পরাজিত হবে।’ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে তারানা হালিম বলেন, ‘সিম নিবন্ধনে কোনো টাকা নেওয়ার কথা না। এ বিষয়ে অভিযান চলছে। যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে ডিলার নিবন্ধনের সময় টাকা নেবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বাংলালিংক ও টেলিটকের মধ্যে এ চুক্তির বিষয়ে তারানা হালিম জানান, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের ডিভাইস টেলিটকের নেই। এ চুক্তির মাধ্যমে টেলিটক বাংলালিংকের ডিভাইস ব্যবহার করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। এর আগে গত ১৩ মার্চ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুল জারি করেন আদালত। বায়োমেট্রিক পদ্বতিতে সিম নিবন্ধন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না,এই মর্মে হাইকোর্টের জারিকৃত রুল টি দেখুন….. বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (আঙুলের ছাপ) মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুল জারি করেছেন আদালত। আজ সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম শাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, টেলিকম-সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালক এবং মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, এয়ারটেল, সিটিসেল, টেলিটককে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত ৯ মার্চ হাইকোর্টে এ-সংক্রান্ত রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবীর পল্লব। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মুকতাদির রহমান গত বছরের ২১ অক্টোবর বায়োমেট্রিক পদ্ধতির পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। পরে ১৬ ডিসেম্বর এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে এই নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আইনজীবীসহ নাগরিক সমাজের অনেকের মতে, বায়োমেট্রিক তথ্য সরকার নিতে পারে। এতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এখানে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির এ তথ্য নেওয়া বা আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করা বে-আইনি। এতে ব্যক্তিগত অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেও অভিযোগ নাগরিক সমাজের। পরে অবশ্য এ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছিলেন, মোবাইল ফোন অপারেটররা আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করবে না। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ তথ্য সরকারের কাছেই থাকবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *