Shadow

কমলনগরে ইট ভাটার শ্রমিককে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাতে পায়ে শিকল লাগিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ দেখার কেউ নাই

মাহফুজুর রহমান, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চর কাদিরা রব বাজার এলাকায় মেসার্স নিউ হক ব্রিকস এর স্বাত্ত্বাধীকারী মোঃ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মধ্যযুগীয় কায়দায় শ্রমিককে হাতে পায়ে শিকল লাগিয়ে কাজ করানো অভিযোগ পাওয়া যায়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী দুপুর বেলায় ফারুক ও তার লোকজন নুর ছোলেমানের ছেলে এরশাদকে ফজুমিয়ার হাট বাজার থেকে শিকল লাগিয়ে ব্রিক ফিল্ডে নিয়ে গিয়ে শিকল পরিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করাচেছ।
অভিযোগের ভিত্তিতে অত্র প্রতিবেদক সরেজমিন তদন্তের জন্য ব্রিক ফিল্ড এলাকা গিয়ে দেখতে পান যে, এরশাদকে শিকল পরিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এই ফিল্ডে এই ধরনের অমানবিক কার্যক্রমের ঘটনা অহরহ বলে জানান নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক। এছাড়া অত্র ব্রিক ফিল্ডে শিশু শ্রমের ব্যবহার হচ্ছে। শিশু শ্রমিক নেছার আহমদের ছেলে লিটন (১০) জানান তার মত অনেক ছেলে এই ফিল্ডে কাজ করে। কাজ ঠিকমত করলেও নির্যাতন করা হয়, ঠিকমত খাওয়ার দেয়া হয় না ও মজুরী কম দেওয়া হয় তাহাও ঠিকমত দেয়া হয় না। প্রতিবেদক দেখতে পান যে, এই ফিল্ডের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে হাজার হাজার মন গাছের লাকড়ী যা পুড়িয়ে ইট বানানো হচ্ছে। শ্রমিকের ব্যবহারের জন্য কোন স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নাই, খাওয়ার পানি নাই, কোন প্রকার গোসলের ব্যবস্থা নাই। ব্রিক ফিল্ডের কারনে অত্র এলাকাটি মারাত্মক পরিবেশ দুষনের শিকার জানালেন কয়েকজন কৃষক। আশপাশের ফসলি জমিনের উর্বর উপরের অংশের মাটি দিয়ে ফিল্ডের ইট বানানো হচ্ছে এতে এলাকা ফসলি জমিনের উৎপাদন ক্ষমতা মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে। কোন প্রকার বিধি বিধান না মেনে সরকাররের আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সম্পুর্ন অনিয়মের মাধ্যমে উক্ত ব্রিক ফিল্ডটি চলছে। ফিল্ডটি চরের মধ্যে হওয়ায় এখানে সরকারী কোন লোক কখনো ভিজিট করছেন বলে কারো চোখে পড়ে নাই। এলাকার লোকজন গরীব ও অশিক্ষিত হওয়ায় অভিযোগ করার মত কোন লোকও নাই। শিকলপরা শ্রমিক এরশাদ জনান আমাকে শিকলে বেধে কাজ করাচ্ছে, মারধর করছে ও ঠিকমত খাওয়ার দিচ্ছে না।  উক্ত বিষয়ে ফিল্ডের মালিক ওমর ফারুকের থেকে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার করেন শিকল পরানোর কথা জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন। এই সব অমানবিক ও অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য উক্ত ফিল্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *