Shadow

কমলনগরে মেঘনা তীর রক্ষা বাঁেধ আবারও ধস! আতংকে এলাকাবাসী

কমলনগর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁেধ আবারও ধস দেখা দিয়েছে । এ নিয়ে গত তিন মাসে নির্মাণাধিন বাঁেধ চার বার ধস নামায় এলাকাবাসী আতংকে রয়েছে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে কমলনগরের মাতাব্বরনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁেধ গিয়ে দেখা যায়। বাঁেধর দক্ষিণে অংশে বাঁেধর প্রায় ১০০ মিটার নদীতে ধসে পড়েছে। তাৎক্ষণিক ধস ঠেকাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বালু ভর্তি কিছু জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। এর আগে দুপুরে তীর রক্ষা বাঁেধ এ ধস নামে। একইভাবে কয়েক দিন পর-পর বাঁেধ ধস দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তীর রক্ষা বাধে নদীর ভিতরে ৪৫ মিটার জিও ব্যাগ (বালু ভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ও ব্লক যাথযথভাবে ডাম্পিং না করেই বাধ নির্মাণ করে। এছাড়াও নিম্মমানের বালু ও জিও ব্যাগ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে জুন মাসের শেষের দিকে বাঁেধ প্রথমবার ধস নামে। এরপর ২৬ জুলাই ফের ধস নামে। পরবর্তীতে আগস্ট মাসেও আবার ধস নামে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৪ সালে ৪৮কোটি টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার কাজ পায় নারায়নগঞ্জ ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ। অর্থ বরাদ্দের দুই বছর পর ২০১৬ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দিয়ে কাজ শুরু করে। শুরু থেকে বাঁধ নির্মাণ কাজ অনিয়মের মধ্যে হয়ে আসছে। যথাযথ বালু ও জিও ব্যাগ ব্যবহার না করায় এ নিয়ে চার বার তীর রক্ষা বাঁেধ ধস নেমেছে। এছাড়াও অন্যত্র থেকে মাটি সংগ্রহ করে বাঁধ নির্মাণ করার কথা থাকলেও নদীর তীর থেকে মাটি উত্তোলন করে বাধ নির্মাণ করায় বার-বার বাঁেধ ধস নামছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এজিএম মাসুদ রানা বলেন, নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে। তীব্র জোয়ারও আছে। ভাটার টানে বাঁেধ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমারা দ্রুত বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছি । আশা করছি বাঁধ এখন ঝুঁকি মুক্ত।
এব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গাজী ইয়ার আলীর সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত; ২০১৪ সালে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দকৃত টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার, রামগতির আলেকজান্ডারে সাড়ে তিন কিলোমিটার ও রামগতিরহাট মাছঘাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মান হওয়ার কথা।
২০১৫ সালের ১ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১৯ ইঞ্জিনিয়ারি কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন আলেকজান্ডার এলাকায় ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে সাড়ে তিন কিলোমিটার সফলভাবে বাস্তবায়ন করে। এদিকে ওই বরাদ্দের ৪৮কোটি টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার কাজ পায় নারায়নগঞ্জ ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ। অর্থ বরাদ্দের দুই বছর পর ২০১৬ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দিয়ে কাজ শুরু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *