প্রয়াস নিউজ ডেস্ক : সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। পাইকাররা বলছেন, বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। তাই দামও কিছুটা কমেছে।
এছাড়া কমেছে রসুন, আদা, চাল ও মসুর ডালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও। ভারত পেঁয়াজের রফতানিমূল্য বাড়িয়ে দেয়ার পর দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে মিয়ানমার, তুরস্ক, মিশরসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার।
মোহাম্মদপুর পাইকারি কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, এরইমধ্যে আড়তগুলোতে মিয়ানমারের পেঁয়াজ সরবরাহ শুরু হয়েছে। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায়। মিয়ানমারের পেঁয়াজ আসায় দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকায়। পাইকাররা বলছেন, আমদানি করা পেঁয়াজ সরবরাহের উপরই দেশীয় বাজারে দর উঠানামা নির্ভর করবে। তবে আদা ও রসুনের দর কেজিতে ১৫ টাকা কমেছে বলে জানালেন, পাইকাররা।
ডালের বাজারে দেশি মসুর প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। আমদানি করা মসুর বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে। অপরিবর্তিত রয়েছে ভোজ্যতেল ও মসলার বাজার।
গেল সপ্তাহের তুলনায় সবধরনের চালের দাম কেজিতে আরো ১ থেকে ২ টাকা কমেছে। মিনিকেট প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪১ টাকায়। আটাশ প্রতিকেজি ৩১ টাকা; আর গুটিস্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ২৭-২৮ টাকা কেজি দরে।