ভোলা প্রতিনিধি ঃ- চরফ্যাশন উপজেলার আলীগাও গ্রামের আলোচিত ধীরেন চন্দ্র দেবনাথ হত্যার আসামীরা এখনো ধরাছোয়ার বাহিরে রয়েগেছে।হত্যার চার মাস পেরিয়ে গেলেও কয়েকজন আসামী গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।বাকি আসামীরা এখনো আছে অধরা।তারা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে বাদী ভগবতি রানী অভিযোগ করেছেন।বাদীর অভিযোগে তিনি জানান,আমার স্বামী ধীরেন চন্দ্র দেবনাথের সাথে ৪০ শতাংশ জমির বিরোধ ছিল তার বোন ভগ্নিপতি শ্রীবাস চন্দ্র দেবনাথ ও অন্যদের সাথে। এ নিয়ে আসামীরা আমি ও আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটায়।জেল থেকে বের হওয়ার পর দেখি আসামীরা আমার ভোগ দখলিয় জমিতে মুঘডাল বুপন করে জমি দখল করে নেয়।এসব বিষয়ে গত ১৯/৪/১৯ ইং তারিখে সকাল সাড়ে ৯ টার সময় আমার বাড়ীর উঠানে আসামী শ্রীবাস চন্দ্র দেব নাথের সাথে কথা কাটা কাটি হয়।এক পর্যায়ে শ্রীবাস চন্দ্র তার ঘর থেকে মাছ ধরার কোচ হাতে নিয়ে আমাকে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় অন্যান্য আসামী অঞ্জুলী রানী,সুমন চন্দ্র,উজ্জল চন্দ্র,আহাম্মদ উল্লাহ,মায়া রানী ও নরেন চন্দ্র মিলে আমার উপর চড়াও হয়।মারা মারির শব্দ পেয়ে ধীরেন চন্দ্র আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে আসামী শ্রীবাস চন্দ্র তার মাথায় ও বাম পাজরে উপর্যুপরী কোপ দিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।অন্যান্য আসামীরা সহ আমাদেরকে লাঠি দিয়ে এলোপাতারি ভাবে মারধর করে টানা-হেঁচড়া করে মুঘ খেতে নিয়ে যায়।স্থানীয় লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।কর্তব্যরত ডাক্তার আমার স্বামীর অবস্থার অবনতি দেখে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।বরিশাল নেওয়ার পথে ওই দিন দুপুর ২ টার সময় আমার স্বামী মৃত্যুবরন করেন।ওই ঘটনায় চরফ্যাশন থানায় মামলা হয়।মামলার পর ১ নং আসামীসহ কয়েকজন জেল হাজতে থাকলেও অপর আসামী নরেন চন্দ্র, উজ্জল চন্দ্র ও মায়া রানীসহ অন্যান্য আসামীরা এখনো ধরাছোয়ার বাহিরে রয়েছে। বর্তমানে মামলাটি ভোলা সি আই ডি তদন্ত করছেন।আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগি বাদী ভগবতি রানি ও স্বজনরা।