অভিযোগে জানা যায়, গত নির্বাচনে ৪নং পইল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে এড়ালিয়া গ্রামের মৃত সমুজ আলীর ছেলে মোস্তফা জামাল বিজয়ী হন। কিন্তু জনগণ তাকে অনেক আশা আকাঙ্গা নিয়ে নির্বাচিত করলেও তিনি জনগণের কথা না ভেবে ও তার দ্বায়ীত্বপালন না করে একটি সিগারেটের কোম্পানীতে চাকরী করছেন।
স্থানীয়রা জানান, মোস্তফা জামাল নির্বাচিত হলে ওই চাকরী ছেড়ে জনগণের সেবায় মনোনিবেশের কথা দিলেও তিনি তার কথা রাখেননি। এমনকি এলাকার উন্নয়নে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করাতো দূরের কথা ছোটখাস সমস্যায়ও কাকে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি এলাকার বাহিরে গিয়ে ওই কোম্পানীর মালামাল বিক্রিতে ব্যস্থ থাকেন। ফলে যে কোন কাজে ওই ওয়ার্ডের জনগণ তাকে কাছে পাচ্ছন না। এমনকি ইউপি সভায়ও তিনি থাকেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ওয়ার্ডের কয়েকজন ব্যক্তি জানান, আমরা তার কাছে কোন খাবারের জন্য যাই না। আমরা গরু, ছাগল কেনা-বেচাঁ, গ্রামের কোন শালিস বৈঠক বা অন্যান্য কোন কাজে আমরা তার সরণাপন্য হই। কিন্তু সেখানেও তাকে কোন দিন পাশে পাইনি। তিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পরও নিজের চাকরি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করেন, তিনি এলাকাসীর উন্নয়নে কাজ না করলেও সমস্য তৈরী করতে পারেন। এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে তিনি তার অপকর্ম করে থাকেন। সরকারী কোন অনুদান গরিবদের না দিয়ে তার মনেরমত লোকদের দিয়ে থাকেন।
এ ব্যাপারে মেম্বার মোস্তফা জামাল সিগারেট কোম্পানীতে চাকুরীর কথাটি স্বিকার করে বলেন, আমি জনগণের সেবা করার জন্যই নির্বাচন করেছি। জনগণ আমাকে নির্বাচিতও করেছে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা যে সম্মানী পান তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব না। তাই দু’বেল দুমোঠো ডাল-ভাত খাওয়ার জন্য আমি চাকরী করি। সেখানে আমি অপরাধ বা ভুলে কিছু দেখছি না।
এ ব্যাপারে পইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে এলাকাবসী লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।