Shadow

জলঢাকায় ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত কৃষক।

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজলোয় নেই কোন বৃহৎ শিল্প কারখানা। এই অঞ্চলরে বেশিরভাগইে মানুষরে জীবন-জীবিকা কৃষি নির্ভরশীল। পৌরসভা সহ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। ধান,গম,পাট,ভুট্টা সহ বিভিন্ন প্রকার রবিশস্য চাষাবাদ করেন স্থানীয় কৃষকরা। তবে বেশিরভাগ কৃষক প্রধান ফসল হিসেবে আমন ও ইরি-বোরো মৌসুমে ধান চাষাবাদ করেন।আমন ও ইরি-বোরো মৌসুমরে চাষাবাদের পরে একই জমিতে বিভিন্ন চাষাবাদ করে বাড়তি ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহতি করে যাচ্ছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে বোরো মৌসুমে চাষাবাদ এবং ধানের চারা রোপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।বুধবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা তাদের জমি গুলোতে ধানের চারা রোপন করছে। উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ১ নং ওর্য়াড খামাদপাড়া এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম জানায় আমার জমি গুলোতে এবার আলু চাষ আবাদ করেছিলাম। তবে আলু উত্তোলন এর কাজ শেষ। এবার ৪ বিঘা জমিতে ধান রোপন করতেছি। তিনি আরও জানান ১ বিঘা জমিতে ধান হয় ২৫ থেকে ২৬ মন। তবে ১ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করতে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। এতে মোট খরচ হবে ১২ হাজার টাকা। তিনি বলেন হিরা-২,বালিয়া-২,জনরাজ এই তিনটি ফসল ফলায় অনেকে। আমি জনরাজ ধান রোপন করতেছি।উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন আহমেদ জানান, উপজেলায় ১৪ হাজার ৬ শত ৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং কৃষি প্রনোদনা হিসাবে ৩ হাজার ৪ শত ৫০ জন কৃষককে উফসী এবং ৩ হাজার ৪ শত ৫০ জন কৃষককে হাইব্রিড, মোট ৬ হাজার ৯ শত জন কৃষককে বোরো বীজ প্রদান করা হয়েছে।উপজেলায় বোরো মৌসুমে চাষাবাদের জন্য চারা রোপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ১ শত হেক্টর জমিতে চারা রোপন করা হয়েছে। সুস্থ সবল চারা উৎপাদন ও চাষাবাদ করে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারে সেজন্য আমাদের সকল উপসহকারী কৃষি অফিসারগন মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।