Shadow

ভোলায় আধাবেলা অটো-মিশুক ড্রাইভারদের ধর্মঘট ॥ দূর্ভোগে যাত্রীরা

শরীফ হোসাইন, ভোলা ॥ ভোলা শহরের নতুন বাজারে লাইনম্যানের নামে চাঁদাবাজি ও পৌরসভার লাইসেন্সে ৪ হাজার টাকা করার প্রতিবাদে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভোলার বিভিন্ন সড়কে ধর্মঘট করেছে অটো-মিশুক ড্রাইভাররা। এতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। রবিবার সকাল থেকে ভোলা শহরের প্রবেশের প্রতিটি রোডে এই অটো-মিশুক বন্ধ করে দিয়ে ধর্মঘট করা হয়। পরে দুপুর ১টায় জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেছে চালকরা।
অটো-মিশুক চালকদের অভিযোগ তাদের সিমিত আয়ের গাড়ী থেকে প্রতিদিন শহরের নতুনবাজারে ডিউটি করা আনসার ও লাইনম্যানরা দৈনিক ৫০ টাকা করে চাঁদাবাজি করেন। আবার টাকা না দিলে নানানভাবে হয়রানী, এমন কি গায়ে হাতও তুলেন বলে অভিযোগ করেন চালকরা। এখন আবার নতুন করে পৌরসভার লাইন্সেস করতে হলে ৪ হাজার টাকা দিতে হবে। আমরা গরীব মানুষ, দৈনিক কত টাকা আয় করি ? এই টাকায় আমাদের সংসার চলতে কষ্ট হয়। অতিদ্রুত এসব চাঁদাবাজি বন্ধ ও লাইসেন্স এর টাকা কমিয়ে আনার দাবী জানান চালকরা।
সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ভোলা সরকারী ফজিলাতুন নেছা মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খায়রুন নেছা বলেন, সকালে আমি কলেজের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম, কিন্তু অটো-মিশুক ড্রাইভারদের ধর্মঘটের কারণে কলেজে যাওয়া এবং বাড়ীতে আসা পর্যন্ত সীমাহিন দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। যখন-তখন চাঁদাবাজীর নামে হয়রানি এবং অটো-মিশুক চালকেদের খামখেয়ালী মত ধর্মটের কারণে আমাদের মত সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমরা এ অবস্থা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ চাই।
কাজের উদ্দেশ্যে ভোলা শহরে আসার জন্য ঘর থেকে বের হওয়া চরসামাইয়া ইউনিয়নের মালেক নামের আরেক যাত্রী বলেন, বাড়ী থেকে অটোরিকশা যোগে কাজের জন্য শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। পথিমধ্যে আলীনগর ইউনিয়নের মাদ্রাসা বাজার এলাকায় আসার পর দেখি অটো-মিশুক ড্রাইভারদের ধর্মঘট চলছে। নিরুপায় হয়েই রিকশা থেকে নেমে পায়ে হেটে ভোলা শহরে আসি। যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে নির্ধারণ করা হোক। আজ আমি যে কষ্ট পেয়েছি, তা কাউকে বলে বুঝাতে পারবো না। কারণ আমরা খেটে খাওয়া মানুষরা যখন-তখন এ রকমের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে চাই না।