Shadow

জলঢাকার শৌলমারী ইউনিয়নে ব্রীজ না থাকায় চলাচলের একমাত্র ভরসা ভেলা।

নিলফামারী প্রতিনিধি।l

সহিদুল ইসলাম (৪৫) পিতা নিজাম উদ্দিন বাড়ী নীলফামারী জলঢাকার শৌলমারী বিএসসি পাড়া বাঁধের পাড়ে। দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে পরিবার পরিজোন নিয়ে। কৃষি কাজ আর গরু-ছাগল পালন করে কাটে তার প্রতিটা দিন। তবে সমস্যা একটাই বাড়ী থেকে বাজার কিংবা দুরপ্রান্তে গেলে যে চলাচলের রাস্তাটির প্রয়োজন তা নেই। গ্রামবাসীর স্ব-উদ্যোগে বাঁশ ও ড্রাম দিয়ে তৈরি করেছেন একটি ভেলা যে ভেলা এখন একমাত্র ভরসা। এপার থেকে ওপার যেতে এই ভেলা ছাড়া উপায় নেই এ এলাকার মানুষের। শুধু সহিদুল ইসলাম নন এরকম দুর্ভোগের মুখোমুখি একই এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে মফিজুল ইসলাম, আকবার আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী, এজার উদ্দিনের ছেলে সহিদুল ইসলাম, সামছুল ইসলামের ছেলে পিয়ারুল ইসলাম তারাও এসমস্যার ভুক্তভোগী প্রাচীন থেকে। বিষয়টি নিয়ে এখনো মাথা ব্যথা নেই এখানকার স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন কিংবা এমপির। বুধবার সকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, শৌলমারী দিয়ে পাশ্ববর্তী থানা হাতিবান্ধা, লালমনিরহাট যে রাস্তাটি ছিল তা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। উপরন্ত ভেলায় ভেলায় ভেসে যাতায়াত করতে হয় এ গ্রামের মানুষদের। বিশেষ করে বানপাড়া, বিএসসি পাড়া, বাসড়া পাড়া, হাতী পাড়া, বড় বাড়ী, কাকড়া পাড়া, সাইলতলা পাড়া, বকসী পাড়া ছাড়াও কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের পথ এটি। একটি স্কুল রয়েছে সেখানে বিদ্যালয়টির নাম তালুক শৌলমারী হাজী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে যারা ছাত্র/ছাত্রী রয়েছে তারা বাঁধের পাড়ের মানুষদের সন্তান। শিক্ষার আলো নিতে কোমলমতি শিশুদের এ ভেলার উপরে ভেসে স্কুলে যেতে হয় নিত্যদিন। চলতি বর্ষা মৌসুমে ভেলাতেও কষ্ট পোহাতে হয় তাদের। এসব কথা জানান, স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান। এলাকাবাসীর দাবী একটি ব্রীজ নির্মাণের! কবে নাগাদ কর্তা ব্যক্তিরা বিয়ষটি সুনজর দিয়ে সমস্যা লাঘবে ব্রীজ নির্মাণের প্রস্তুতি নিবেন। এটাই দেখতে চান শেষ জীবনে (অব) প্রাপ্ত শিক্ষক মোজাম্মেল হক বিএসসি (৭০)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *