নীলফামারী প্রতিনিধি।l নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাঁঠালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাঁঠালী এস.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে মর্মে সংবাদ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে কাল-বৈশাখী ঝড়ে গোটা উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কাঁঠালী এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা হয়েছে বলে সংবাদকর্মীদের জানালেন, উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন। প্রতিষ্ঠানটির চারিদিকে ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষকদের অফিস কক্ষ, শিক্ষার্থীদের শ্রেনীকক্ষ, অফিস ও লাইব্রেরীতে রাখা বিভিন্ন বই ও শিক্ষা উপকরণ এবং প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য মালামাল ঘূর্ণি ঝড়ে বিনষ্ট হয়ে যায়। শুধু তাই নয় উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শ্রেনীকক্ষের পাকা দেওয়াল, নিল্টন ফেটে মাটিতে পড়ে যাওয়ার উপক্রম প্রায়। জরুরী ভিত্তিতে এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম পূর্ণ সংস্কার না হলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিঘœ ঘটবে। এবং কাল-বৈশাখী ও বর্ষাকালে মাঠের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অসুবিধা সৃষ্টি হবে বলে জানালেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই। উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কয়েকজন জানান, ভাই আমাদের তড়িৎ গতিতে যেন ক্লাশ রুম গুলো সংস্কার করা হয়, তাহলে আমরা শ্রেনীকক্ষের মধ্যে পড়াশুনা করতে পারবো। এব্যাপারে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন জানান, আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়-ক্ষতির ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। যাতে প্রতিষ্ঠানটির সমস্যা অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান হয়। এব্যাপারে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মোত্তাকীন খিজিরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা এ প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়-ক্ষতি সম্পর্কে এমপি সহ সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। এখন শুধু আশায় আছি, কবে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণ সংস্কার হয়। এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে, তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা ঘূর্ণি ঝড় কবলিত প্রতিষ্ঠানটির সম্পর্কে বোর্ড বসিয়েছি, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু পারি সহয়োগিতা করব। এব্যাপারে উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমামের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, বিষয়টিতো অনেক কিছু জানি এখন দেখা যাক কতটুকু কি করতে পারি।