Shadow

জলঢাকায় নুরুল ইসলাম বয়াতীর “প্রেমের মরা জলে ডুবে না”

মোঃ মশিয়ার রহমান, নীলফামারী : “প্রেমের মরা জলে ডুবে না, ও প্রেম করতে দুইদিন ভাঙ্গতে একদিন এমন প্রেম আর করিও না।” বিখ্যাত গায়ক আব্দুল আলিমের গান নুরুল ইসলাম (৪৫) বয়াতীর সুরেলা কন্ঠে এ গান শুনে সকলেই আবেগপ্লুত। নীলফামারীর জলঢাকায় রোববার মৎস্য সমিতির সামনে গান গাওয়াকালিন এ প্রতিবেদকও সকলের মতো আবেগপ্লুত হয়ে যান তার গান শুনে। দেশের এ প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে গান গেয়ে বেড়ান ভ্রাম্যমান এ গায়ক। বাড়ি নীলফামারীর ডিমলার ঝুনাগাছ চাপানীর ছাতুনামা গ্রামে। সেখানকার ওস্তাত কাদের বয়াতীর কাছ থেকে শেখা। দারিদ্র প্রীরিত সংসার বাবা জসির উদ্দিন একজন কৃষক। নুরুলের ২ ছেলে ২ মেয়ে তারা লেখাপড়া করছে। বয়াতীর জীবিকা বিভিন্ন উপজেলার হাট বাজারে গান গেয়ে যা পান তা দিয়ে চলে তার সংসার। সংগীতে প্রায় ২৭ বছর ধরে রয়েছেন এ গায়ক। তবুও উৎসাহ উদ্দিপনা ও লোকবলের অভাবে কন্ঠ সুন্দর হয়েও এখন পর্যন্ত কোন সরকারী বেসরকারী সুযোগ সুবিধা তার ভাগ্যে জুটেনি। স্থান হয়নি সংগীতের কোন স্টুডিওতে। নুরুল ইসলাম বয়াতী জানান, আমি লোক সংগীত, ভাওয়াইয়া সংগীত সহ বিভিন্ন আধুনিক গানের সারমর্ম সহ এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে গেয়ে বেড়াই। যা অর্থ আসে তা দিয়ে কোন রকমে দিনাতিপাত করা ছাড়া আর কিছুই হয় না। বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানে আমাকে দিয়ে যদি কেউ গান করাতো তবে সংগীত সাধনা আমার স্বার্থক হতো। জেলে পাড়ার স্কুলের শিক্ষক সুকচাঁদ রায় বলেন, আমি তার গানের খুবেই ভক্ত এবং তার গান আমি রেকর্ড করে শুনি। তাকে যদি কেউ সংগীত জগতে স্থান করে দিতে পারত তাহলেই তার জীবন স্বার্থক হতে। শুধু এই বয়াতীই নয় এ রকম শত শত বয়াতী গান গেয়ে বেড়ান হাটে বাজারে। সরকারের চলচ্চচিত্র প্রকাশনা থেকে এদেরকে যদি উৎসাহ দেওয়া যেত তাহলে কোন বয়াতী কে হাটে বাজারে গান গেতে হত না।

হমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *