Shadow

জলঢাকায় মরন ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত এক স্কুল ছাত্র।

নীলফামারী প্রতিনিধি।l বাবার সম্পত্তি ৯০ শতাংশ ভাগে পেয়েছি। সেটুকুও বিক্রি করে দিয়েছি। মানুষের কাছে ঋণ করেছি। ভয়ংকর ব্যাধি আক্রান্ত করেছে আমার ছেলেকে। ডাক্তার বলেছে, আমার সন্তানের ক্যান্সার হয়েছে। এবারে এস.এস.সি পরীক্ষার প্রবেশ পত্র পেলেও পরীক্ষা দিতে পারেনি, আমার একমাত্র ছেলে হাবিবুর রহমান (১৬)। আবেগপ্লুত কন্ঠে হাঁউ-মাউ করে কেঁদে সাংবাদিকদের একথাগুলো বললেন, নীলফামারী জলঢাকা প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাফিজুর রহমান নামের এক দর্জি। তাঁর সঙ্গে কথা হচ্ছিল তাঁর বাড়ীতে বৃহস্পতিবার  দুপুরে। তিনি বলেন, গেল বছরের ডিসেম্বরে ডান কোমরে একটি ফোঁড়া জন্ম নেয়। ফোঁড়াটি ধীরে-ধীরে বড় হতে থাকে। সৃষ্টি হয় ব্যাথা নামক এক যন্ত্রণা। প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, ডাক্তার পারেনি রোগটি নির্ণয় করতে। পরে তাকে ঢাকার হাড়-জোড়া, বাত-ব্যাথা, প্যারালাইসিস ও সার্জারি বিভাগের সার্জন ডাক্তার এটিএম আব্দুর রাজ্জাকের শরণাপন্ন হলে, তিনি রোগটিকে হাড়ের টিউমার (বোর্ণ টিউমার) ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। রোগটির প্রতিক্রিয়া তাঁর ডান কোমরে (পেলভিক্স বোর্ণ) ব্যাধিটি হাড়গুলোকে ফুটো-ফুটো করে খেয়ে ফেলছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য এই দর্জি ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করায় ছেলেকে। সেখানকার মেডিসিন ডাক্তার অধ্যাপক মোফাজ্জাল হোসেনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিল। সেখানে খরচ যোগাতে না পেরে বেশি দিন ঠিকতে পারেনি। ছেলেটির মা হামিদা বেগম বলেন, অনেক আশা ছিল, ছেলেকে পড়াশোনা করে দেশের একজন সৈনিক বানাবো। এজন্য বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করিয়েছিলাম। ছেলে আমার পরীক্ষা দিতে পারলো না। ক্যান্সারের কোমোথেরাপি দিতে হয় ১৫ দিন পর-পর। খরচ হয় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। এ টাকা ছোট্ট একটি সংসার থেকে যোগান দেওয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব। আর কিছুই নেই যে, তা বিক্রি করে চিকিৎসা চালাবো। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নিভু-নিভু জীবন কাটালেও এখনও পর্যন্ত সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেনি সমাজের সরকারী-বেসরকারী এনজিও কিংবা উচ্চ পদস্থ কোন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের নেতা। পরিবারটির স্ব-র্ণিবন্ধ অনুরোধ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে স্ব-হৃদয়বানরা এগিয়ে আসুন একটি জীবন বাঁচাতে। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা, অগ্রণী ব্যাংক লিঃ জলঢাকা শাখা, নীলফামারী। সঞ্চয়ী হিসাব নং-৭৮৯৬, বিকাশ ০১৭৬৮-৮৪২১১৬।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *