Shadow

জলঢাকায় মরন-ব্যাধি হিমোপাইলিয়া রোগ থেকে বাচঁতে সকলের সাহায়্য চান-প্রদ্বীপ।

নীলফামারী প্রতিনিধি l নিজের যা কিছু ছিল সবকিছু বিক্রি করে দিয়েছি। মানুষের কাছে ঋণ করেছি। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, সবকিছু শেষ করে দিয়েছি,অনেক কষ্ট করে অনাহারে অর্ধহারে স্ত্রী সন্তান কে নিয়ে দিনাপাত করছি। আমাকে ভয়ংকর ব্যাধি আক্রান্ত করেছে।ডাক্তার বলেছে, আমার হিমোপিলিয়া রোগ হয়েছে।আবেগপ্লুত কন্ঠে হাঁউ-মাউ করে কেঁদে সংবাদকর্মীকে এ কথাগুলো বললেন, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড শৌলমারী (মুদিপাড়া) এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শ্রী প্রদ্বীপ চন্দ্র রায় নামের এক কৃষক।তাঁর সঙ্গে কথা হচ্ছিল জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ১৭জুলাই(মঙ্গলবার) দুপুরে। তিনি বলেন,গত ৫বছর আগে হাটুঁ থেকে পায়ের গোড়াঁলী পযর্ন্ত প্রচান্ড ব্যাথা অনুভব করি।গ্রামের পল্লী চিকিৎসক,কবিরাজ হাকিমের কাছে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরে কোন সুফল পাইনি।দিনে দিনে হাটু থেকে পায়ের গোড়ালীর ব্যাথা বারতে থাকে পায়ের শক্তি কমে যায়।এলাকার কিছু লোকের পরামর্শ অনুযায়ী রংপুরে এক প্রাইভেট এম,বি,এস ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহন করি।সেখানে তেমন কোন উন্নতি পাইনি দিনে দিনে অবনতির দিকে ধাপিত হয়। সৃষ্টি হয় ব্যাথা নামক এক যন্ত্রণা। এদিকে যন্ত্রনা আরো বেগবান হয়। পরবর্তীতে শেষ সম্ভল জমানো যাহা ছিল তা দিয়ে চলে যান ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে সেখানে ভর্তি হই।সেখানে১০দিন চিকিৎসার পরে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগটি নির্ণয় করে জানান হিমোপাইলিয়া রোগ হয়েছে। সেখানে খরচ যোগাতে না পেরে বেশি দিন ঠিকতে পারেনি।পরে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।বর্তমানে সে রংপুরের প্রাইভেট ডাক্তার একে এম কামরুজ্জামান এর তত্ত্বাবদানে চিকিৎসা চলছে।তবে তাকে দ্রুত উন্নতি চিকিৎসার প্রয়োজন নয়তো অকালে ঝরে যাবে একটি প্রান।ডাক্তার বলেছেন চিকিৎসা করতে অনেক টাকা লাগবে।প্রতিমাসে তার শরীরে ১থেকে ২ব্যাগ রক্ত দিতে হবে।তার রক্তের গ্রুফ বি নেগেটিভ।শ্রী প্রদ্বীপ চন্দ্র রায় জানান,অভাবে সংসার কিভাবে এতটাকা জোগার করবো,সংসারের একমাত্র উর্পাজনকারী আমি নিজেই।আমি অসুস্থ কি ভাবে কি করবো ভাবতে পারছিনা।এত টাকা ছোট্ট একটি সংসার থেকে যোগান দেওয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব।এমনিতেই অনাহারে অর্ধহারে দিনাপাত করছি। কোন কিছুই নেই যে, তা বিক্রি করে চিকিৎসা চালাবো। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নিভু-নিভু জীবন কাটালেও এখনও পর্যন্ত সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেনি সমাজের সরকারী-বেসরকারী এনজিও কিংবা উচ্চ পদস্থ কোন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের নেতা। পরিবারটির স্ব-র্ণিবন্ধ অনুরোধ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে স্ব-হৃদয়বানরা এগিয়ে আসুন একটি জীবন বাঁচাতে। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা,শ্রী প্রদ্বীপ চন্দ্র রায় পার্সোনাল বিকাশ নং-০১৭৩৭৮৩০৬৮০ অথবা কেউ এই ঠিকানায় সাহায্য করতে পারেন। নাম-শ্রী প্রদ্বীপ চন্দ্র রায়
পিতাঃ মৃত-ঃ গনেশ চন্দ্র রায়।
গ্রামঃ শৌলমারী(মুদিপাড়া)।
ওয়ার্ড নং-৪
ইউনিয়ন-শৌলমারী।
উপজেলা-জলঢাকা।
জেলা-নীলফামারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *