নীলফামারী প্রতিনিধি।l ফুরাদ হোসেন (২৮) বাবা ছফির উদ্দিন বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকার পৌরসভাধীন দুন্দিবাড়িতে। অদম্য ইচ্ছা আর মেধা শ্রমকে কাজে লাগিয়ে ২০১২ সালের প্রথম দিকে আলোর কণা নামে একটি সামাজিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। যার উদ্দেশ্যে ঝড়ে পড়া শিশুদের সু-শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে এবং প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের মেধা বিকাশে নানান কলা-কৌশল তে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে শিক্ষার গুণগত মানকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে ফুরাদ নামের যুবকটি। শুধু ফুরাদেই নন হিরণ চন্দ্র রায় ও লিমন হোসেন তারাও এ সংগঠনটিকে নির্লস শ্রম দিয়ে স্বাক্ষর রেখেছে শিক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞানের। দুন্দিবাড়ি থেকে এ সংগঠনটির যাত্রা শুরু হলেও যার কার্যক্রম রেল লাইনের মত চলমান। প্রতিদিনেই উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞানবান করতে আয়োজন করে থাকে কুইজ-কুইজ প্রতিয়োগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, তর্ক-বিতর্ক, জানা-অজানা, খেলাধুলা সহ স্বাক্ষর জ্ঞানের নানান দিক। ফুরাদ হোসেন জানান, শুরুর দিকে আমার এলাকায় নিরক্ষরের অভাব ছিল না। সেখান থেকেই ইচ্ছা শক্তিগুলো কাজে লাগিয়ে প্রায় শতাধিক সংগঠককে সাথে নিয়ে পথ চলা শুরু করি। এখন উপজেলার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। স্ব-উদ্যোগে এ সংগঠনটি করতে পেরে নিজেকে গর্বিতবোধ মনে করছি ও যারা আমাকে সহযোগিতা তাদের প্রতিও আমি খুবেই কৃতজ্ঞ। এব্যাপারে নীলফামারী জেলা রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি ও জলঢাকা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মানিক লাল দত্ত বলেন, নিঃসন্দেহে আলোর কণা একটি শিক্ষাবান্ধব সংগঠন। সরকারী বেসরকারী পর্যায়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পেলে আগামীতে মানব সেবাও মডেল হতে পারে এ সংগঠনটি।