মোঃ মশিয়ার রহমান,নীলফামারী : ৪০ বছর থেকে ১০ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের এক মাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। অথচ একটি ব্রিজ হলে পাল্টে যেতে পারে ওইসব এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থা। নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের দুবাছুরী মালিপাড়া বটতলী গ্রামের বুড়িখরা নদীর ওপরে বাঁশের সাঁকোটি । সরেজমিনে দেখা গেছে, সাঁকো দিয়ে পাড় হয়ে প্রতিদিন নীলফামারী শহরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যাতায়াত,করেন,হাজার,হাজারশিক্ষা
সাঁকো ভেঙ্গে মাঝেমধ্যে অনেক লোকজন নদীতে পড়ে যান এবং আহত হন। তার পরেও দুরদুরান্ত থেকে আসা এবং ওই এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে চলাফেরা করছে। একটি ব্রিজের জন্য জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি। ককই বড়গাছা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গণপতি রায়, ছাত্র পলাশ, মিঠুন, ছাত্রী আরজিনা বেগম, বেবী, রেশমা, পথচারী নরেশ চন্দ্র রায়, মমতা বেগম, সোহরাব আলী, লুৎফর রহমান জানান , আমরা এই সাঁকোর ওপর দিয়ে অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি। আমরা যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারি।
লক্ষীচাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নের এই সাঁকোটি মানুষের জন্য একটি মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি নিজেই ভুক্তভোগী । প্রতিদিন এই সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। তিনি আরো বলেন বুড়িখরা নদীর ওপরে একটি ব্রীজ হলে হাজার হাজার মানুষের যাতাযাতের সুবিধার পাশাপাশি ১০ গ্রামের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হতো। এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও কোন লাভ হয়নি বলে তিনি জানান।