Shadow

ডিমলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ফসলের ক্ষতি প্রান গেল ১কৃষকের আহত ১৫।

নীলফামারী প্রতিনিধি।l নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় প্রাণ গেল কৃষকের আহত ১৫, বাড়ী হারায় অনেকে । ১১ মে রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে পুরো উপজেলা । এসময় ফসলের ক্ষতি দেখে হৃৎ ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হয়ে প্রাণ হারালো ৬ নং নাউতারা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সাতজান মৌজায় জোতিন্দ্র নাথ রায় (৭০), পিতামৃতঃ দোমাসু নাথ রায় ।
উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম লেলিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি এপ্রতিবেদক কে  আরও বলেন, আমার ইউনিয়নের ৭, ৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ডের আংশিক অপূরনীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এছাড়া ১০ জনের ও বেশী পরিবার বাড়ী হারা হয়েছে। তারা হলেন ম্যানেকা, আব্দার রহমান , রহিদুল ইসলাম, হামিদুল ইসলাম, হালিমুর রহমান, তফিয়ার, রফিকুল , কলিমুদ্দিন, মনছুরা প্রমুখ । আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে পুরো উপজেলায় কয়েক শত ঘরবাড়ী ,ফসলীয় আবাদি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । ঝড়ে গাছপালা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ও ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান কাল বৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন, আমার ইউনিয়নের  ১ হতে ৬ নং ওয়ার্ড পযর্ন্ত  ধান,পাট,ভূট্টা, মরিচ, আদা,করল্লা এককথায় সবধরনের ফসল বিনষ্ট হয়েছে জানিনা তারা কিভাবে এ দুঃখ ও হতাশা কেটে উঠবে । ফসলের এ করুণ চিত্র দেখে জ্ঞান হারিয়েছে অনেকে আবার অসুস্থ ও হয়েছে অনেকে বলে জানা গেছে। উক্ত ইউনিয়নের আওয়ামী যুব লীগের আহবায়ক মতিউর রহমান চৌধুরী দলু বলেন আমার জমিতে কাস্তে লাগার মত কোন ধান নেই। এছাড়া ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন আমার নির্বাচনী এলাকা নদী ভাঙ্গা কবলিত চর অঞ্চল এখানে মানুষ ঝড়ে ক্ষতি কিভাবে কাটিয়ে উঠবে। ইউপি সদস্য ছাইদুল ইসলাম,দেলোয়ার রহমান চৌধুরী, কৃষক আফজাল হোসেন, নুরুজ্জামান ইসলাম, জিতেন্দ্র নাথ রায় , অনীল চন্দ্র রায়, রনজিত, বদিউজ্জামান, আজাদ সুলতান, মাজহারুল , ছাদেকুল, মোস্তফা, দানেছসহ অনেকে বলেন চিরামুড়ি খাওয়ার ধানও পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না । সরকারি ভাবে যদি কোন পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে ঘুরে দাড়ার কোন উপায় নেই ।
এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে তিনি জানান, অত্র উপজেলা প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হেক্টর আবাদী ফসল নষ্ট হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৬ টায় নীলফামারী কৃষি সম্প্রোসান অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম আজাদ সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং রিপোর্ট করেছি । আরও কথা হয় ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ নাজমুন নাহার এর সঙ্গে তিনি বলেন আমি শুনা মাত্র ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করেছি।সরকারী ভাবে কোন অনুদান আসা মাত্র পৌচ্ছে দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *